শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

‘আমাকে আসামি করা হয়েছে’ সংবাদ সম্মেলনে বললেন নায়িকা ববি

ডেস্ক রিপোর্ট   |   সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   101 বার পঠিত

‘আমাকে আসামি করা হয়েছে’ সংবাদ সম্মেলনে বললেন নায়িকা ববি

চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির রাজধানীর গুলশানে রেস্টুরেন্ট ‘ববস্টার ডাইনিং’ লুটপাট, দখল, প্রতারণা, ব্যবসায়িক অংশীদারকে হত্যাচেষ্টা, মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ (১ জুলাই) রাজধানীর রেডওয়ার্কিড রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে ববি এসব অভিযোগ এনেছেন।

গত ২২ জুন দিনগত রাতে ববস্টার ডাইনিংয়ে লুটপাট ও মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ২৩ জুন দুপুরে ববির ব্যবসায়িক অংশীদার ঘটনাস্থলে গেলে তাকে মারধর করা হয়।

ওইদিনই এ বিষয়ে মামলা করেন ব্যবসায়িক অংশীদার মির্জা বাশারের ছোট ভাই আব্বাস। একই দিন মির্জা বাশার ও ববিকে আসামি করে রেস্টুরেন্ট ভবনের এজিএম সাকিব মিথ্যা মামলা করেন বলে দাবি করেন এ নায়িকা।

ববি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সৎভাবে জীবনযাপন অব্যাহত রেখে আর্থিক সচ্ছলতার আশায় আমি গুলশান-২ এর ১১৩ নম্বর রোডের ওয়াই এন সেন্টারের একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করি। রেস্টুরেন্টে অপারেশন পার্টনার হিসেবে রয়েছেন আমার পূর্বপরিচিত মির্জা বাশার। আগের রেস্টুরেন্টের মালিক আমানের সঙ্গে তার রেস্টুরেন্টের সমুদয় আসবাবপত্র (ইন্টেরিয়র ও অন্যান্য) ৫৫ লাখ টাকা মূল্য ধরে একটি চুক্তি হয়।

একই সময়ে রেস্টুরেন্ট ভবনের (বিল্ডিং) মালিকের স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিন ও ছেলে জাওয়াদ আল মামুনের সঙ্গে ভবন রেস্টুরেন্ট মালিকসহ আলোচনা করি। তখন শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ রেস্টুরেন্টটি আমাকে ভাড়া নিতে উৎসাহিত করেন এবং চলমান রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করলে তারা পরবর্তী সময়ে আমাদের নামে নতুন চুক্তিপত্র করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

তাদের প্রতিশ্রুতির পর আমরা আমানকে ১৫ লাখ টাকা প্রদান করি এবং টাকা পাওয়ার পর দিন আমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তাকে দুটি চেকও প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গত এপ্রিল মাসে আমান আমাদের কাছে রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করেন। আমরা এপ্রিল থেকে রেস্টুরেন্টের ভাড়া প্রতি মাসে আড়াই লাখ ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ পরিশোধ করছি। ভবনের মালিক আমাদের নামে ভাড়া জমা নিয়ে রসিদও দেন। রেস্টুরেন্টে ওঠার পর আমরা ডেকোরেশন পরিবর্তনের কাজ শুরু করি।

যাতে প্রায় ১ মাস সময় লাগে। ডেকোরেশনে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। এ পর্যায়ে আমরা রেস্টুরেন্ট পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করি এবং ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আমরা ভবনের শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ আল মামুনকে চুক্তিপত্র, ফায়ার সেফটি ও বাণিজ্যিক অনুমতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়ার অনুরোধ করি।

অন্যদিকে শাহিনা ও জাওয়াদের নির্দেশে ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী জয়, সাকিব, হারুন ও তাদের সহযোগীরা বারবার আমার রেস্টুরেন্টের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়ে আমাকে হয়রানি শুরু করেন। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওয়ান গ্রুপ থেকে বারবার সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রেস্টুরেন্টে এসে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।

শাহিনা ইয়াসমিন এতটাই বেপরোয়া হয়ে গেছেন, আমরা যখন বৈধ কাগজপত্র চেয়েছি তখন তিনি বর্তমান সরকার এবং সরকারপ্রধান নিয়েও উল্টাপাল্টা ও অশ্লীল মন্তব্য করেছেন বলে ববির অভিযোগ।

এ ছাড়া ববি অভিযোগ করেন, তিনি জানতে পেরেছেন, প্রশাসনের দুজন লোক শাহিনা ও জাওয়াদের এসব অপকর্মে গোপনে সহায়তা করেন এবং তাদের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওই দিন একটা ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষ দুটি মামলা করেছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।

 

Facebook Comments Box

Posted ৩:৪১ পিএম | সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।