| শনিবার, ০৬ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 31 বার পঠিত
করোনাভাইরাসের কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার (৫ মে) ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ ঘোষণাকে করোনা মহামারি শেষ হওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ভাইরাসটি নিয়ে ডব্লিউএইচও তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারির তিন বছরের মাথায় এসে এ ঘোষণা দিল।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে করোনায় মৃত্যু সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। সে সময় বিশ্বে প্রতি সপ্তাহে গড়ে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তবে গত ২৪ এপ্রিলে শেষ হওয়া সপ্তাহে মৃত্যু হয় ৩ হাজার ৫০০ জনের কিছু বেশি।
ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, করোনা মহামারিতে বিশ্বে অন্তত ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে মহামারিতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাটা দুই কোটির কাছাকাছি হবে বলেই মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস এখনো উল্লেখযোগ্য একটি ঝুঁকি হিসেবে রয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটি ১৫তম বৈঠকে বসেছিল। এই কমিটি জনস্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘোষণা দিলো ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, অত্যন্ত আশার কথা হলো যে, আমি বিশ্বব্যাপী করোনার জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করছি। তার মানে এই নয় যে, কোভিড বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য হুমকি হিসেবে শেষ হয়ে গেছে।
এই ঘোষণার ফলে কোনো দেশ যদি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গৃহীত সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ থেকে সরে আসে, এই ভাইরাস মোকাবিলায় গড়ে তোলা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলে বা দেশের মানুষের কাছে এই বার্তা দেয় যে করোনাভাইরাস নিয়ে চিন্তার আর কিছু নেই, তাহলে সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটবে বলে সতর্ক করেছেন তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। যা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। এরপর ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করে ডব্লিউএইচও। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
Posted ৪:১০ এএম | শনিবার, ০৬ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।