| শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 25 বার পঠিত
সুদানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেওয়া জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি বলেছেন, তাঁর সেনাদের ওপর বোমাবর্ষণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনায় বসবেন না।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে জেনারেল হেমেদতির নেতৃত্বাধীন আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। এতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। প্রাণ বাঁচাতে সুদান ছাড়ছেন বিদেশি নাগরিকেরা।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল হেমেদতি বলেছেন, তৃতীয় দফায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরেও তাঁর সেনাদের ওপর অবিরাম বোমবর্ষণ হচ্ছে। তিনি চলমান সহিংসতার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সুদানকে ধ্বংস করতে চাই না।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ তিন দিন বাড়াতে সম্মত হয় দুই বাহিনী।
সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে বিবিসিকে জেনারেল হেমেদতি বলেন, তিনি আলোচনায় বসতে রাজি, তবে এজন্য যুদ্ধবিরতি মানতে হবে। তিনি বলেন, ‘শত্রুতা বন্ধ করলেই আমরা আলোচনায় বসতে পারি।’
আরএসএফের প্রধান বলেন, জেনারেল বুরহানের সঙ্গে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। সুদানের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের ঘনিষ্ঠদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ দেওয়ার জন্য বুরহানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে বশিরের নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ এতে নেতৃত্ব দিয়েছিল।
ওমর আল বশির প্রায় ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিলেন। ইসলামী মতাদর্শ ও কঠোর শরিয়া আইন আরোপের জন্য বশির পরিচিত ছিলেন। জেনারেল হেমেদতি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত কট্টরপন্থী ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা বুরহানকে পরিচালিত করছেন।’
জেনারেল হেমেদতি ও জেনারেল বুরহান ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুদানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। পরে তাঁরা বেসামরিক সরকারের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করার একটি চুক্তি বাতিল করেন।
চলতি বছর বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে দুই জেনারেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। আরএসএফের ১ লাখ সেনাকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি করেছিলেন হেমেদতি।
বিবিসিকে হেমেদতি বলেন, ‘আমি বেসামরিক সরকারের অপেক্ষায় আছি, যেটি একটি সম্পূর্ণ বেসামরিক সরকার হবে। আমার নীতি এটাই।
জেনারেল হেমেদতি বলেন, আরএসএফ সদস্যরা সেনাবাহিনীর শত্রু ছিল না। গত ৩০ বছরের সরকারের ধ্বংসাবশেষ থেকে দেশরক্ষায় তারা সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
সেনাসদস্যের উদ্দেশ্যে হেমেদতি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করব না। দয়া করে আপনারা নিজ নিজ ডিভিশনে চলে যান, আমরা আপনাদের সঙ্গে লড়াই করব না।’
Posted ১২:২৫ এএম | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।