পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আস্থা ভোটে জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির এই আস্থা ভোটের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। খবর দ্য ডনের।
প্রতিবেদনে খবরে বলা হয়, আস্থা ভোটে ১৭২ ভোটের প্রয়োজন হলেও শাহবাজ শরীফ পেয়েছেন ১৮০ ভোট। ফলে পার্লামেন্টে অধিকাংশ সদস্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন।
শাহবাজ শরীফ পার্লামেন্টে আস্থা ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—এমন খবর চাওড় হলেও দেশটির সরকার বেশ জোর দিয়েই তা প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। তার কয়েক দিন পরই এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটল।
প্রস্তাব পাস হওয়ার পর শাহবাজ শরীফ পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে আজ চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। এই পার্লামেন্ট আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই পার্লামেন্ট যদি বিতর্কের পর কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায় তাহলে সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করা আমার কর্তব্য। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব।’
এদিকে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের এ শক্তি প্রদর্শন আগাম নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত ইমরান খানের পিটিআইয়ের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, পিটিআইয়ের ২০ সংসদ সদস্যের ভোট গণনা না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আস্থা হারিয়েছেন। শাহবাজ শরীফের ১৭২ সদস্যের পরিবর্তে মাত্র ১৬০ সদস্যের সমর্থন আছে। আজকের ভোট শাহবাজ শরীফ এবং পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য বড় পরাজয়।