| মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 25 বার পঠিত
গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামও মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাদের গুলি করে। নোমান ঘটনাস্থলে মারা যান।
জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু দুজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করার দাবি জানাই।
এদিকে দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে জেলা শহরে বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা সদর হাসপাতাল থেকে মিছিল নিয়ে উত্তর তেমুহনীতে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দর মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পলাশসহ অনেকেই ।
নিহত নোমানের ভাই মাহফুজুর রহমান বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবুল কাশেম জেহাদী পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। কাশেম আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছিল। এরপর থেকে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জেহাদী পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান ভোট করেন কাশেম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মাহফুজুর রহমান। এতে কাশেমের ভরাডুবি হয়। ওই নির্বাচন নিয়েই কাশেম ও তাঁর বাহিনীর সঙ্গে মাহফুজ-নোমানদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি।
Posted ১১:২৮ পিএম | মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।