বৃহস্পতিবার ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

১৪ বছর ধরে কাঞ্চনবাবার পূজা, এবার পরিকল্পনার কথা জানালেন শ্রীময়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   103 বার পঠিত

১৪ বছর ধরে কাঞ্চনবাবার পূজা, এবার পরিকল্পনার কথা জানালেন শ্রীময়ী

জুটি হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে টালিউড অভিনেতাকাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ অত্যন্ত চর্চিত। যাদের প্রেম থেকে বিয়ে নিয়ে পরতে পরতে রোমাঞ্চ। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই বিয়ে সাতপাকে বাঁধা পড়ে এ জুটি। জনপ্রিয় দম্পতি তো বটেই, এখন তাদের আরও একটি পরিচিতি হয়েছে। তারা কৃষভির বাবা-মা। উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন ঈশ্বরে বিশ্বসী। অন্যদিকে শ্রীময়ী ছোটবেলা থেকে আধ্যাত্মিক পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন। বিয়ের আগে থেকেই কাঞ্চনের বাড়ির কালীপূজার ভার নিয়েছিলেন শ্রীময়ী। এর মাঝে সরস্বতী পূজাও করেছেন তিনি। বিয়ের পর এটাই তাদের প্রথম শিবরাত্রি। একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী জানালেন নিষ্ঠাভরেই শিবের পূজা করবেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, কাঞ্চনই আমার কাছে শিব, কত বছরের তপস্যার ফল।

কাঞ্চনের সঙ্গে যখন আলাপ তখন শ্রীময়ীর বয়স অনেকটাই কম। কিন্তু সেই সময় থেকেই অভিনেতা শ্রীময়ীকে নিয়ে যেতেন কালীঘাট চত্বরে নকুলেশ্বর ভৈরব মন্দিরে। সেখানেই এত বছর পূজা দিয়েছেন। কিন্তু এ বছর অবশ্য পরিকল্পনা খানিকটা আলাদা। বেনারস থেকে শিব এনেছেন, একেবারে যজ্ঞ করেই প্রতিষ্ঠা করেছেন বাড়িতে। তাই এ বছরটা বাইরের মন্দিরে নয়, বরং বাড়িতেই শিবরাত্রি করবেন। যদিও শিবের পূজা ছোটবেলা থেকেই করেন শ্রীময়ী। সে কারণেই নাকি শিবের মতো স্বামী পেয়েছেন। শিবঠাকুর বেলপাতায় তুষ্ট।

শ্রীময়ী বলেন, আমার স্বামীও অল্পেই সন্তুষ্ট। কোনো চাহিদা নেই ওর। কখনো মুখ ফুটে কিছু বলে না। সেটাই বরং আমার চিন্তার বিষয়। বড্ড মুখচোরা। আমি বরং খোঁচাই, মনের কথা জানতে চাই। তিনি বলেন, যদিও শিবের মতো স্বামী পাওয়ার উদ্দেশ্যে কখনো যে পূজা করেছেন তেমনটা নয়।

অভিনেত্রী বলেন, আসলে ঈশ্বরের কাছে কখনোই আমার চাওয়া-পাওয়া নেই। সেখানে নিজেকে সমর্পণ করি। অবশ্য শিবের মতো বর পাওয়ার ইচ্ছার নেপথ্য কারণ হিসেবে শ্রীময়ী মনে করেন, শিব তো মা কালীকে শান্ত করতে নিজে পায়ের তলায় শুয়ে পড়ে। আসলে বাড়িটাও তাই হোম মিনিস্টারের দখলে। বাইরে যত বড় গুন্ডা, নেতা-মন্ত্রী হও না কেন, বাড়িতে সবাই ঠান্ডা। সেই জন্যই শিবের মতো ঠান্ডা স্বামী দরকার। কাঞ্চনকেও আমার সব কথা শুনতে হয়। আমার হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলায়। ঠিক যেমন আমার জেদের জন্য মহাকুম্ভ গেল, কাঞ্চন তো যেতে চায়নি।

কাঞ্চন মুখ বুজে শ্রীময়ী কথা মেনে নিলেও মাঝেমধ্যে অবাধ্য হয়, আক্ষেপ তারকাপত্নীর। শ্রীময়ী অভিযোগ করে বলেন, অসুস্থ হলে ওষুধ খেতে চান না বিধায়ক। বাড়ির খাবার অন্যদের খাইয়ে দিয়ে নিজে বাইরে মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করেন। অভিনেত্রী বলেন, আসলে শান্ত, কিন্তু বড্ড অবাধ্য। আবার এককথায় ক্ষমা চেয়ে নিতেও পারে। তার পর আর কি রেগে থাকা যায়।

কাঞ্চনের আগে বেশ কিছু ভালো লাগা তৈরি হলেও সবাইকেই নাকচ করেছেন শ্রীময়ী। কারণ প্রায় প্রত্যেকের বাহন ছিল মোটরবাইক। শ্রীময়ী বলেন, মোটরবাইক চাপতে বড্ড ভয় করে। এই মহাকুম্ভে গিয়ে চড়তে হয়েছিল। তাও কাঞ্চনের কাঁধে মাথা দিয়েছিলাম। মোটরবাইকের ভয়েই আগের প্রেমিকদের নাকচ করেছি। তবে কাঞ্চন আমার অনেক তপস্যার ফল। ১৪ বছর ধরে কাঞ্চনবাবার পূজা করছি।

তবে কাঞ্চনের যে গুণটা শ্রীময়ীকে আকর্ষণ করে সেটি হলো তার সততা। শ্রীময়ী বলেন, যখন কাঞ্চনের সঙ্গে আলাপ, আমার ভালো লাগে ওকে। তখন কাঞ্চন সাফ বলে— আমি কিন্তু বিবাহিত, আমার সাজানো বাগান আছে। আমি বিবাহিত কাঞ্চন মল্লিককেই ভালোবেসে ছিলাম। আর ওর জীবন সব পরিস্থিতি একাকিত্বটাও দেখেছি।

অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এখন কাঞ্চন-শ্রীময়ী বিবাহিত। সঙ্গে রয়েছে ছোট্ট কৃষভি। মেয়েকে কি শিব পূজার মাহাত্ম্য বোঝাবেন? শ্রীময়ী অবশ্য কোনো কিছুই মেয়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী নন। অভিনেত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে ও বাড়িতে পূজাপাঠ দেখে বড় হবে। ওর বাবা-মা দুজনেই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। মানুষ যা দেখে তাই শেখে। আমার মা-ও জোর করেননি, আমি নিজে থেকেই শিবের পূজা শুরু করেছিলাম। তাই কৃষভির ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করবেন বলে জানান মল্লিকপত্নী।

Facebook Comments Box

Posted ৪:০২ পিএম | বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।