বৃহস্পতিবার ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

হিজাববিহীন নারী চিহ্নিত করতে রাস্তাঘাটে ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান

  |   রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   24 বার পঠিত

হিজাববিহীন নারী চিহ্নিত করতে রাস্তাঘাটে ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান

বাধ্যতামূলক পোশাক নীতি অমান্যকারী নারীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের আরো একটি পদক্ষেপ নিচ্ছে ইরানী কর্তৃপক্ষ। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, পর্দা না করা নারীদের শনাক্ত করে শাস্তি দেয়ার জন্য জনসমাগমস্থলে এবং উন্মুক্ত রাস্তায় ক্যামেরা স্থাপন করছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পুলিশ।

পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের চিহ্নিত করার পর, বিধি লঙ্ঘনকারীরা ‘পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক বার্তা’ পাবেন।

ইরানের বিচার বিভাগের বার্তা সংস্থা মিজান নিউজ এজেন্সি এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিজাব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ বন্ধ করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ধরনের প্রতিবাদ দেশের আধ্যাত্মিক ভাবমূর্তিকে কালিমা লিপ্ত করছে এবং নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

গত সেপ্টেম্বরে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী এক কুর্দি নারীর মৃত্যুর পর থেকে, ক্রমবর্ধমান হারে ইরানের নারীরা পর্দা করা ছেড়ে দিচ্ছে। হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহসা আমিনিকে আটক করা হয়েছিলো। তার মৃত্যুর পর বিক্ষোভ শুরু হলে নিরাপত্তা বাহিনী বল প্রয়োগ করে সেই বিদ্রোহ দমন করে।

এরপরও বাধ্যতামূলক পোষাক আইন অমান্য করে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়ে, নারীদের সারা দেশের শপিং মল, রেস্তোরা, দোকান এবং সড়কে ব্যাপক সংখ্যায় হিজাববিহীন অবস্থায় দেখা যায়। নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে নারীদের হিজাব ছাড়া করা ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

শনিবার প্রকাশিত পুলিশের বিবৃতিতে, এই সামাজিক বিধি মানা হচ্ছে কি-না, তা নিজ দায়িত্বে, নিষ্ঠার সাথে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়।

১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর আরোপিত ইরানের ইসলামী শরিয়া আইন অনুযায়ী, নারীরা তাদের চুল ঢেকে রাখতে এবং তাদের দেহবায়ব লুকানোর জন্য লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে বাধ্য। এই বিধি লঙ্ঘনকারীরা জনসাধারণের তিরস্কার, জরিমানা বা গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হন।

গত ৩০ মার্চ ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছে, ’পর্দা ইরানি জাতির সভ্যতার অন্যতম ভিত্তি’ এবং ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্রের অন্যতম ব্যবহারিক নীতি’। আর, ’এই নীতি থেকে কখনো পিছু হটা সম্ভব নয়।’

বিবৃতিতে, হিজাববিহীন নারীদের প্রতিরোধ করার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়। এ ধরনের নির্দেশনা গত কয়েক দশক ধরে নারীদের ওপর হামলা চালাতে কট্টরপন্থীদের উৎসাহিত করেছে। গত সপ্তাহে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তি একটি দোকানে হিজাববিহীন দুই নারীর দিকে দুই ছুড়ে মারছেন।

Facebook Comments Box
বিষয় :

Posted ৪:৪০ এএম | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।