| শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট | 26 বার পঠিত
সুদানের পশ্চিম দারফুরে অন্তত ৮৭ জনের একটি গণকবর শনাক্ত হয়েছে। গণকবরের অধিকাংশ সংখ্যালঘু জাতিসত্তা মাসালিতের সদস্য। অ-আরব এই মাসালিত জনগোষ্ঠীর সদস্যদের জাতিগত বিদ্বেষ থেকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য সুদানের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দায়ী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য উল্লেখ ও অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে একটি বিস্তারিত তদন্তের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, পশ্চিম দারফুরের এল-জেনিনা শহরে এই গণহত্যা সংগঠিত হয়। সাধারণ মানুষদের দিয়ে ২০ থেকে ২১ জুনের মধ্যে তাদের গণকবর দেওয়া হয়। আরএসএফ ও আরব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
আরএসএফ পশ্চিম দারফুরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের একই দিন তথা বৃহস্পতিবার থেকে সুদানের চলমান সংকট সমাধানে মিসরে বিশেষ বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে সংঘাতরত সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
গত ১৫ এপ্রিল ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। রাজধানী খার্তুমের পাশাপাশি সংঘাতের আরেকটি কেন্দ্র ছিল দারফুর।
দারফুরে ইতঃপূর্বে ২০০৩ সালেও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। তখন তিন লাখের বেশি সংখ্যালঘু জাতিসত্তার সদস্যদের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
Posted ৪:৫২ এএম | শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।