| বুধবার, ০৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 19 বার পঠিত
ভোটের দুই সপ্তাহ আগে সন্তান জন্ম দিয়েছেন থাইল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে হেভিওয়েট প্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
সোমবার (১ মে) তিনি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
৩৬ বছর বয়সী পেতংতার্ন তার অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নবজাতকের ছবিসহ সন্তান জন্মের ঘোষণা দেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, “হাই, আমার নাম প্রুথাসিন সুকসাওয়াস, ডাক নাম থাসিন। সকল সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। কয়েক দিনের মধ্যে, প্রথমে আমার মায়ের সুস্থ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন, তারপর আমি প্রেসের সাথে দেখা করব।”
ছবিতে দেখা যায়, একটি ফ্যাকাশে হলুদ কম্বলে মোড়ানো রয়েছে তার সন্তান। শিশুটি তার দ্বিতীয় সন্তান।
আগামী ১৪ মে থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই নতুন প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার পেতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি।
এ ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে ভোটারদের জরিপে প্রথম বা দ্বিতীয় রয়েছেন পেতংতার্ন।
নির্বাচনের পুরো সময় জুড়ে জোরদার প্রচারণা চালিয়ে গেছেন এই প্রার্থী। দ্বিতীয় সন্তানের আসন্ন আগমন তাকে ভোটের প্রচারণা থেকে দূরে রাখতে পারেনি।
এ নির্বাচনে বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং ফুপু ইংলাকের পর হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে দেশটির ক্ষমতায় ফিরে আসার আশা করছেন তিনি।
এর আগে ২০১৪ সালে দেশটিতে পেতংতার্নের ফুপু ইংলাক সিনাওয়াত্রার নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন সেনাপ্রধান প্রয়ুথ চ্যান-ওচা। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও ২০১৯ সালের নির্বাচনের পরে বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী হন প্রয়ুথ।
২০২৩ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তার বিদায় ঘটবে বলে মনে করছেন অনেকেই। যদিও এ নির্বাচনকে সামনে রেখে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে করা একটি জরিপে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থীদের মধ্যে ১৩.৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন তিনি।
থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। অতীতে নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাদের দল ক্ষমতায় এসেছে। আর তাই নিজের পরিবারের নামের স্বীকৃতি ও দলের স্থায়ী জনপ্রিয়তা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রাও ছিলেন থাই রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয়। বেশ ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে থাকসিন ও ২০১৪ সালে তার বোন ইংলাক ক্ষমতাচ্যুত হন। অবশ্য ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কারাদণ্ড এড়াতে দুজনই থাইল্যান্ড ছেড়ে বাইরে চলে গেছেন।
Posted ৩:৩১ এএম | বুধবার, ০৩ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।