| শুক্রবার, ০৫ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 22 বার পঠিত
ভারতের মণিপুর রাজ্যে চলমান সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‘দেখামাত্র গুলি’র নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার জারি করা এ নির্দেশে বলা হয়, চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে, যখন আর কোনো উপায় কাজে আসবে না, সেই সময় দেখামাত্র গুলি চালানো যেতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, মণিপুরের কিছু এলাকায় পাঁচ দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট সেবার স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনী বিক্ষুব্ধ এলাকাগুলোতে ফ্ল্যাগ মার্চ (টহল) করে।
মণিপুরের জনগণের ৫০ শতাংশই মেইতেই সম্প্রদায়ের। তারা তফসিলি উপজাতি (এসটি) হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হওয়ার জন্য গত কয়েক বছর ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিল।
ভারতে যে সব সম্প্রদায় ঐতিহাসিকভাবে সমান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে- তাদের এসটি শ্রেণিভুক্ত করে সরকারি চাকরি, কলেজে ভর্তি ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির আসন সংরক্ষণ করা হয়।
গত মাসে মেইতেই সম্প্রদায়ের দাবি বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন মণিপুর হাইকোর্ট। কিন্তু রাজ্যের অন্য উপজাতিগুলোর মধ্যে এতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। তারা দাবি করে, মেইতেইদেরকে এসটি মর্যাদা দেওয়া হলে তাদের চাকরির জন্য তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে। এর প্রতিবাদ জানাতে গত মঙ্গলবার মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ডাকা এক মিছিলে হাজার হাজার লোক যোগ দেয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, চুড়াচান্দপুর জেলায় সমাবেশে আসা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আরেক দলের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর বিষ্ণুপুর এবং আরও কয়েকটি এলাকা থেকেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টা ধরে কিছু সংঘর্ষ-ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। রাজ্য সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মণিপুরের বাসিন্দা, অলিম্পিক পদক বিজয়ী ক্রীড়াবিদ মেরি কম বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সহিংসতায় কিছু লোক তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন।
তবে মণিপুর রাজ্য সরকার এখনো হতাহতের কোনো খবর নিশ্চিত করেনি।
আর ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, বুধবার রাত জুড়ে তারা ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি বেসামরিক লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছে।
Posted ৪:৫৩ এএম | শুক্রবার, ০৫ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।