থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাতের এমপি পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত একটি অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে থাই পার্লামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো ভোটাভুটি হওয়ার আগে বুধবার (১৯ জুলাই) এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
পিটার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, পিটা গত ১৪ মে’র জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অযোগ্য ছিলেন। কারণ একটি গণমাধ্যম কোম্পানিতে তার শেয়ার রয়েছে। যা থাই নির্বাচনি বিধির লঙ্ঘন।
থাইল্যান্ডে নির্বাচন বিষয়ে এমন একটি আইন রয়েছে যাতে কেউ কোনো গণমাধ্যমের মালিক হলে তার নির্বাচনে অংশ নেয়া নিষিদ্ধ। পিটার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সে বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
থাইল্যান্ডে গত ১৪ মে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বড় জয় পায় তরুণ রাজনীতিক পিটার মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি। কিন্তু নির্বাচনের পর দুই মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখনও সরকার গঠন হয়নি।
নির্বাচনের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ১৩ জুলাই দেশটির দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে প্রথম ভোট হয়। এতে পিটা প্রধানমন্ত্রী হতে প্রয়োজনীয় ভোট পেতে ব্যর্থ হন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে বুধবার (১৯ জুলাই) ফের ভোটাভুটির তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু তার আগেই পিটার এমপি পদ স্থগিত করা হলো। সাংবিধানিক আদালতের ঘোষণার ফলে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি বাতিল হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আইনপ্রণেতারা এখনও প্রধানমন্ত্রী পদে পিটার মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক করছেন।
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক আদালতের আজকের আদেশের কোনো প্রভাব পার্লামেন্টের কার্যক্রমে পড়েনি। আইন অনুযায়ী, পিটা প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী আছেন।