ডেস্ক রিপোর্ট | রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট | 92 বার পঠিত
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে আজ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
রোববার (১৬ জুন) সকাল ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফুল্লা চৌধুরী। নামাজ শেষে তিনি মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় আরেকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঈমামতি করেন দরবার শরীফের পীরজাদা আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। একই সঙ্গে জেলার অন্যান্য গ্রামগুলোতে এই মতবাদের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করছেন। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফুল্লা চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে তারা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং পবিত্র রমজানের রোজা রেখে আসছেন। প্রথমে এসব ঈদের জামাতের লোকজন কম হলেও এখন সারা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের নবীজীর জন্মদিন পালনেও আমরা ব্যতিক্রম করি। সারা বিশ্বের সব মুসলমান একই দিনে রাসূলের জন্মদিন পালন করা উচিত। কারণ আমাদের এলোমেলো জন্মদিন পালন করতে গেলে অমুসলিমরা এটিকে নিয়ে হাস্যকর মনে করে। স্থানীয় সময় ঠিক রেখে বিশ্বের সব দেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করা উচিত বলে আমি মনে করি।
দরবার শরীফে ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি আবদুল্লাহ জানান, মরহুম পীর সাহেবের সময়কাল থেকে আমরা এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। আমি মনে করি শনিবার সৌদি আরবে হজ পালন হয়েছে। আজকে তারা ঈদ উদযাপন করছে, আমরাও তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে।
Posted ৫:২৪ এএম | রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।