| রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট | 116 বার পঠিত
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শি জিনপিং এই সপ্তাহে সিসিপির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে ভাষণ দেয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু তার বার্তা ছিল পরিষ্কার: তাইওয়ানসহ পশ্চিমা হুমকির মুখে বেইজিং দ্বিগুণ আক্রমণাত্মক হবে।
“তাইওয়ানে হস্তক্ষেপকারী বহিরাগত শক্তির গুরুতর উস্কানি” কে নিন্দা করে শি বলেন, “আমরা শক্তির ব্যবহার ত্যাগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নই, এবং আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখি”।
তাইওয়ান, যেটিকে বেইজিং তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে বিবেচনা করে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সেই তাইওয়ানকে নিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করার কথা বিবেচনা করছে। তারা স্ব-শাসিত দ্বীপ দেশটির সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে, এবং সম্ভাব্য চীনা আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি বিল উত্থাপন করতে যাচ্ছে।
শির ভাষণ এবং সিসিপি কংগ্রেসের প্রতিবেদনে কঠোর সতর্কতা রয়েছে যে, চীন ক্রমবর্ধমান বাহ্যিক হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে এবং এমন একটি সময়ের মধ্যে প্রবেশ করছে “যেখানে কৌশলগত সুযোগ, ঝুঁকি এবং একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সংখ্যালঘু দলের নেতা কেভিন ম্যাকার্থি সেপ্টেম্বরে সংবাদদাতাদের বলেন,”গত ৫০ বছর ধরে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আমেরিকান জীবনযাত্রার উপর, আমাদের অর্থনীতির উপর, আমাদের চাকরির উপর, আমাদের কোম্পানির উপর, আমাদের সংস্কৃতির উপর, আমাদের প্রতিষ্ঠানের উপর, আমাদের ভবিষ্যতের উপর আক্রমণ শুরু করেছে।”
রিপাবলিকানরা হাউজে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতলে, ম্যাকার্থিই সম্ভবত স্পিকার হবেন।
প্রতিনিধি মাইকেল ম্যাককল, যিনি হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি চায়না টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব দেন, তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, রিপাবলিকানরা যদি নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে, তবে তারা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণসহ কঠোর আইনের মাধ্যমে চীনের বিরুদ্ধে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত করবে।
এই মাসের শুরুর দিকে, বাইডেন প্রশাসন চীনে উন্নত আমেরিকান সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির রপ্তানি সীমিত করে আক্রমনাত্মক পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, প্রযুক্তিটি বেইজিংয়ের সামরিক আধুনিকায়নে কাজ করছে।
স্টিমসন সেন্টারের চায়না প্রোগ্রামের পরিচালক ইউন সান বলেন, “বেইজিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে যাই ঘটুক না কেন, ভাল ফলাফল আশা করার কোন কারণ নেই”।
তিনি বলেন, “এই মধ্যবর্তী নির্বাচনে, কিংবা ২০২৪ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জিতুক, নির্বিশেষে, একই চীন নীতি বলবত থাকবে।”
Posted ৬:৪২ পিএম | রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।