| সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 133 বার পঠিত
রাতে অসুস্থতা বাড়লে চিকিৎসকের খোঁজে জরুরি বিভাগে যান এক রোগীর স্বজন। সে কক্ষে তখন দায়িত্বরত কেউ ছিলেন না। টেবিলের ওপর বসে ছিল কয়েকটি কুকুর। সে দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন রোগীর স্বজন। ফেসবুকে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছবিটি গত শুক্রবার রাতে ধারণ করা বলে দাবি করেছেন রোগীর স্বজন সাদ্দাম হোসেন। তিনি উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের বিলরাউল গ্রামের বাসিন্দা। তার দাবি অনুযায়ী ছবিটি গত শুক্রবার রাতের কি না তা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জাহিদুল হক।
ছবিটি রোববার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকউন্টে আপলোড করেন সাদ্দাম। এরপর তা অনেকে শেয়ার করেছেন। সাদ্দাম বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে ভাতিজা ইমনকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করেন। মাঝে বাড়ি এসে রাত ১০টার দিকে আবার হাসপাতালে যান। রাত ১টার দিকে ইমনের শরীর খারাপ হলে দুই তলা থেকে নিচে নেমে জরুরি বিভাগে যান। এ সময় তিনি সেখানে দায়িত্বরত কাউকে পাননি। কক্ষে দেখতে পান তিনটি কুকুর দুটি টেবিলে বসে আছে। পরে সে দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন।
ছবিটি শেয়ার করেছেন আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। সেখানে এম এ হালিম নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘প্রতিটি হাসপাতালে জনবলের অভাব। জনবল নিয়োগ না দিলে তো এমন হবেই।’
উবায়দুল্লাহ রুমী নামে একজন ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এভাবেই চলছে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম।
ছবিটি দেখার পর আহমেদ হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, হাসপাতালের ভেতর চিকিৎসকের টেবিলে কুকুরের অবস্থান অপ্রত্যাশিত। রাতে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কতটা দায়িত্ব পালন করেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।
জামাল মিয়া নামের আরেকজন বলেন, হাসপাতালের ভেতরের অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে বাহিরের অবস্থা কেমন সবাই বুঝতে পারে। কুকুর তাড়ানোর মতো একজন লোকও কি নেই।
ঘটনাটি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লোপা চৌধুরী কথা বলতে রাজি হননি। আরএমও জাহিদুল হক বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ছবি দেখেছেন। তবে সেটি বর্তমান সময়ে তোলা কি না তা জানেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজা জেসমিন বলেন, এটি দায়িত্বে অবহেলার কারণে হয়েছে। যে বা যাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এটি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের টেবিলের ওপর কুকুর বসে থাকবে এটি ভাবাও যায় না। এটি কবের ঘটনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দ্বায়িত্বে কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ১২:৪৮ এএম | সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।