সোমবার ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আসবে ১৮ মার্চ

  |   শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   23 বার পঠিত

পাইপলাইনে ভারত থেকে  ডিজেল আসবে ১৮ মার্চ

ভারত থেকে পাইপলাইনে ১৮ মার্চ ডিজেল আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন।

ভারত ও কাতার সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

১৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পাইপলাইন ভারতের আসাম রাজ্যের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এনআরএল) শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনদের (বিপিসি) দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল বহন করবে।

ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারত সরকারের অর্থায়নে পশ্চিমবঙ্গের এই পাইপলাইনের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ব এনআরএল মার্কেটিং টার্মিনালের সঙ্গে বিপিসি পার্বতীপুর ডিপো যুক্ত করেছে এই পাইপলাইন। এর মাধ্যমে যাওয়া ডিজেল দীর্ঘমেয়াদে বিকিকিনির জন্য ২০১৭ সালে চুক্তি সই করে বিপিসি এবং এনআরএল। ওই বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বছরে প্রায় ১০ লাখ টন ডিজেল আনা-নেয়ায় সক্ষম ওই পাইপলাইনে অর্থায়নের সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ইন্দো-বাংলা পাইপলাইনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। ৩৭৭ কোটি ভারতীয় রুপিতে নির্মিত এই পাইপলাইনের প্রায় ৯২ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে এনআরএল; বাকি ২৮৫ কোটি রুপির অর্থায়ন হয়েছে ভারত সরকারের অনুদান থেকে।

গত ১ থেকে ৩ মার্চ দিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দেন মোমেন। এই বৈঠকের ফাঁকে ২ মার্চ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে ভারত থেকে তিনি কাতার যান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ভারত সফর ফলপ্রসূ হয়েছে আখ্যা দিয়ে বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমরা সীমান্ত হত্যাকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বলেছি, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আপনারা যে অঙ্গীকার করেছেন, সেটা রাখেন। তিনি বলেন, ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে রেললাইনসহ যেসব নির্মাণ স্থাপনা তৈরিতে দেশটি আপত্তি জানিয়েছিল, তারা সেটা তুলে নিয়েছেন। এখন আমাদের কাজগুলো সুচারু হবে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন, কসবা রেলওয়ে স্টেশন ও সালদা নদী সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত প্রায়ই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আমরা তাদের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে অনুরোধ করেছি।

জি-২০ সম্মেলনে ভারতের আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সদস্য না হয়েও আমন্ত্রণ পেয়েছে। জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছে। খাদ্য ঘাটতি, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, উন্নয়ন সহযোগীতা, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগীতা ও প্রত্যাবাসন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে সহযোগীতাসহ বিভিন্ন বিষয় বাংলাদেশ তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ হবে। এ উত্তরণের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন সুবিধা কর্তণ হবে, এটি ঠিক নয়। পরীক্ষায় পাস করলে পুরষ্কৃত করা উচিত। আমরা চেয়েছি, সুবিধা বাদ দিলেও যাতে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশকে তাদের সঙ্গে চায়। এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী সোচ্চারভাবে বলেছেন। ভারতের আমন্ত্রণ আমাদের জন্য বড় পাওয়া। ভারত সন্মান দিয়েছে বলেই বাকিরা বাংলাদেশকে সম্মান দিয়েছে। এটি ভারতের বন্ধুত্বের বড় নিদর্শন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায়। দুই দেশের পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা যায়, কিন্তু এগুলো সরকার করে না। এগুলো নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও ব্যক্তি বিশেষের ওপর হীনমন্যতা থেকে সুরক্ষার জন্য। কিন্তু এর বাস্তবায়নে দুর্বলতা থাকতে পারে।

ড. ইউনুসকে নিয়ে চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তার কারণে যারা বাংলাদেশ দেখতে পারেন না অথবা শেখ হাসিনাকে দেখতে পারেন না, তারা বিভিন্ন রকমের প্রচেষ্টা করছে। শেখ হাসিনাকে বাদ দিতে পারলে এখানে অস্থীতিশীলা আনা যাবে, তারাই বিভিন্ন চেষ্টা করছেন। যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো অলিক।

ভারত থেকে বিএনিপ নেতা সালাউদ্দিনের দেশে ফেরানো নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়, আসুক অসুবিধা কি? আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে ভারতের কোনো আলাপ হয়নি। নিয়মিত প্রক্রিয়ায় এগুলো কাজ হবে।

Facebook Comments Box

Posted ৩:২৪ এএম | শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(174 বার পঠিত)
ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।