| মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 23 বার পঠিত
মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। তুরস্ক ও সিরিয়ার মারাত্মক ভূমিকম্পে চাপা পড়া মানুষদের বেঁচে থাকার আশা ম্লান হচ্ছে। স্নিফার ডগ এবং থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার করে উদ্ধারকারীরা এখনও খোঁজাখুঁজি করেই চলেছে। কিন্তু সোমবার থেকে উদ্ধারকাজ বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে তুরস্কে ৩১,৬৪৩ এবং সিরিয়ায় ৫,৭১৪ জন।
দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পর সোমবার তুরস্কে উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবন থেকে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ছিন্ন ভিন্ন সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে, ‘জাতিসংঘের সাহায্য প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস’ বলেছেন যে উদ্ধার তৎপরতা শেষপর্যায়ে। এলাকার তাপমাত্রা মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। এবং যা উদ্ধার অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে।
তুর্কি এন্টারপ্রাইজ এ্যান্ড বিজনেস কনফিডারেশন নামে একটি বেসরকারি ব্যবসায়িক সংস্থা জানিয়েছে, মারাত্মক ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ৮৪ বিলিয়ন ডলার।
তুরস্কের নগরায়ণ মন্ত্রি মুরাত কুরুমের মতে, প্রায় ৪২ হাজার বাড়ি ভেঙেছে। খাবার, পানি, ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক ও সিরিয়া। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৮। দু’দফার ভুমিকম্প আঘাত হানে দেশটির ১০টি প্রদেশে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলো হলো হাতায়, গাজিয়ানতেপ, আদানা, আদিয়ামান, দিয়ারবাকির, কিলস, মালত্য, ওসমানিয়া এবং সানলিউরফা। প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূমিকম্পে।
সিরিয়া ও লেবাননসহ এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ ১০ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে তুরস্কে আঘাত করা শক্তিশালী কম্পন অনুভব করে।
সূত্র: আল-জাজিরা
Posted ৯:৪৫ এএম | মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।