বৃহস্পতিবার ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

বিবিসির তথ্যচিত্র প্রচার বন্ধে ইউটিউব-টুইটারকে নির্দেশ

  |   শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   28 বার পঠিত

বিবিসির তথ্যচিত্র প্রচার বন্ধে ইউটিউব-টুইটারকে নির্দেশ

এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও সরকারি সূত্র খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামের ওই তথ্যচিত্র বিজেপি ও গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা তুলে ধরেছে, যা নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ভারতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ওই তথ্যচিত্রকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ‘বাতিল আখ্যানের প্রচার’ বলে মন্তব্য করে জানিয়েছে, এটা ‘পক্ষপাতিত্বমূলক, বস্তুনিষ্ঠ নয় এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতায় মাখামাখি’। শনিবার সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ওই তথ্যচিত্র ভারতের সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব, অধিকার ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতি বিরূপ কটাক্ষ। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত এক তদন্তকারী দল ওই দাঙ্গায় তৎকালীন সরকারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ওই তথ্যচিত্র ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে নিচু করে দেখিয়েছে। ভারতের বন্ধুদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে তুলবে। সবচেয়ে বড় কথা, দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবে।

ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী ওই তথ্যচিত্র ব্লক করার প্রয়োজনীয় নির্দেশ ইউটিউব ও টুইটারকে দিয়েছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। যাঁরা ওই তথ্যচিত্র নিয়ে টুইট করেছিলেন, তাঁদের একজন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ান। তাঁর টুইট মুছে দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগ জানিয়ে ডেরেক শনিবার বলেছেন, ‘সেন্সরশিপ। টুইটার আমার টুইট সরিয়ে দিয়েছে। লাখ লাখ লোক তা দেখেছেন। বিবিসির এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র দেখিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সংখ্যালঘুদের ঘৃণা করেন।’

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা তথ্যচিত্রটিতে খতিয়ে দেখা হয়েছে। সরকারি হিসাবে ওই দাঙ্গায় ১ হাজার ৪৪ জন নিহত, ২ হাজার ৫০০ জন আহত ও ২২৩ জন নিখোঁজ হন। বেসরকারি মতে নিহতের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি।

ওই তথ্যচিত্র সম্পর্কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে তিনি সহমত নন। বিবিসি ওই তথ্যচিত্র ভারতে সম্প্রচার করেনি। তথ্যচিত্রটির দ্বিতীয় ভাগ সম্প্রচারিত হবে ২৪ জানুয়ারি।

Facebook Comments Box

Posted ১:৪৭ পিএম | শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।