নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 117 বার পঠিত
সামুদ্রিক মাছ মানুষের চেহারা আলাদা করে চিনতে পারে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল বিহেভিয়ারের (এমপিআই-এবি) একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের তথ্যমতে, সামুদ্রিক মাছ মানুষের মধ্যে পার্থক্য শনাক্ত করতে পারে। আর তাই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নির্দিষ্ট ডুবুরিদের চিনতে পারে।
বিজ্ঞানী মেলান টোমাসেক জানিয়েছেন, কেউ কখনো আসলে জানার চেষ্টা করেননি সামুদ্রিক মাছের মানুষের চেহারা শনাক্ত করার কোনো ক্ষমতা আছে কি না বা প্রকৃতপক্ষে তারা মানুষ চিনতে পারে কি না। আমরা পানির নিচের জগতে প্রবেশ করার পর জানতে পেরেছি, এসব মাছ আমাদের চিনতে পারে। সামুদ্রিক মাছ স্বতন্ত্রভাবে মানুষকে চিনতে পারে। তারা নির্দিষ্ট ডুবুরিদের অনুসরণ করে। মাছ জানে, কে তাদের পুরস্কৃত করবে। বায়োলজি লেটার্সে এই গবেষণা নিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা ভূমধ্যসাগরের আট মিটার পানির নিচে গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে সামুদ্রিক মাছ বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে বেশ অভ্যস্ত বলা যায়। গবেষণার সময় প্রথমে মাছ কোনো ডুবুরিকে অনুসরণ করে কি না, তা জানার চেষ্টা করা হয়। দেখা যায়, মাছগুলো ধীরে ধীরে ডুবুরিদের চিনতে পেরেছে।
বিজ্ঞানীদের আশপাশে থাকা কয়েক ডজন মাছের প্রজাতির মধ্যে দুটি প্রজাতির মাছের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়, যার মধ্যে ‘ব্রিম’ প্রজাতির মাছ বেশি সাড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ক্যাটিংকা সোলের বলেন, ‘আমি সমুদ্রে নামার সঙ্গে সঙ্গে মাছেরা আমার দিকে সাঁতার কেটে আসতে থাকে। আমি পিঠে দুটি চকচকে রুপালি আঁশের একটি মাছের নাম দিই ‘বার্নি’ আর আরেকটি মাছের নাম দিই ‘আলফি’, যার লেজের পাখনা একটু ছেঁড়া ছিল।’
গবেষণার তথ্যমতে, ১২ দিনের প্রশিক্ষণের পর প্রায় ২০টি মাছ নিয়মিত বিজ্ঞানী সোলারকে অনুসরণ করেছে। পরে বিজ্ঞানী সোলার অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমুদ্র নামেন। তখন দেখা যায়, বিজ্ঞানী সোলারকে যেসব মাছ চিনত, সেগুলো সবই তার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
Posted ১:৫৩ পিএম | শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।