শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

ইসলামে মানুষের জীবনের সম্মান ও নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   107 বার পঠিত

ইসলামে মানুষের জীবনের সম্মান ও নিরাপত্তা

ইসলামে বড় অপরাধ ও পাপসমূহের একটি হলো নিরপরাধ মানুষ হত্যা বা খুন। মানুষের হক সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় অপরাধ এটি। ইসলামে মানুষ হত্যা দুনিয়াতে দণ্ডণীয় অপরাধ, এর শাস্তি ভোগ করতে হবে আখেরাতেও। একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করার অপরাধ কত ভয়াবহ তা ফুটে ওঠে এ আয়াতে, আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা জমিনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করলো সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল। আর যে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচালো, সে যেন সব মানুষকে বাঁচালো। (সুরা মায়েদা: ৩২)

একাধিক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মানুষ হত্যাকে কুফরি বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুসলিমকে গালি দেয়া গুনাহের কাজ এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা কুফুরি। (সহিহ মুসলিম: ১২৪)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোরবানির দিন সবাইকে সমবেত করে একটি ভাষণ দেন। তাতে তিনি বলেন, হে লোক সকল! আজকের এ দিনটি কোন্ দিন? সকলেই বলেন, সম্মানিত দিন। তিনি বলেন, এ শহরটি কোন শহর? তারা বলেন, সম্মানিত শহর। তিনি বলেন, এ মাসটি কোন মাস? তারা বলেন, সম্মানিত মাস। তিনি বলেন, আপনাদের রক্ত, আপনাদের সম্পদ, আপনাদের সম্মান আপনাদের জন্য তেমনই সম্মানিত, যেমন সম্মানিত আপনাদের এ দিনটি, আপনাদের এ শহর এবং আপনাদের এ মাস। এ কথাটি তিনি কয়েকবার বললেন। পরে মাথা উঠিয়ে বলেন, হে আল্লাহ! আমি কি আপনার বাণী পৌঁছে দিতে পেরেছি? হে আল্লাহ! আমি কি আপনার বাণী পৌঁছে দিতে পেরেছি? উপস্থিত ব্যক্তিরা যেন অনুপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে এই কথা পৌঁছে দেয়। আমার পর আপনারা একে অপরকে হত্যা করে কুফরির দিকে ফিরে যাবেন না। (সহিহ বুখারি: ১৭৩৯)

কেয়ামতের দিন বান্দার হকের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধসমূহের মধ্যে হত্যার বিচার হবে সর্বপ্রথম। (সহিহ বুখারি ৬৫৩৩, সহিহ মুসলিম ১৬৭৮) অন্যায়ভাবে নিহত ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়ে হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ করবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কেয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি হত্যাকারীকে মাথার সামনের দিকের চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসবে। তার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে থাকবে এবং সে বলতে থাকবে, হে আমার রব! এই ব্যক্তিই আমাকে হত্যা করেছে। এ কথা বলতে বলতে সে আরশের কাছে চলে যাবে। (সুনানে নাসাঈ: ৪০০৫, সুনানে তিরমিজি: ৩০২৯)

কেউ হত্যা, চুরি, দুর্নীতি ইত্যাদি অপরাধে জড়িত হলেও তাকে বিনা বিচরে শাস্তি দেওয়া বা হত্যা করা যাবে না। যথাযথ তদন্ত ও বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে দোষী প্রমাণিত হলেই শুধু কারো শাস্তি হতে পারে। ইসলামে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, নিজের খেয়ালখুশি অনুযায়ী ন্যায়ের নামে অন্যায় করার কোনো সুযোগ নেই।

Facebook Comments Box

Posted ৯:০৯ এএম | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।