শনিবার ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

চীনের নতুন মানচিত্রে যুক্ত হলো ভারতের অরুণাচল প্রদেশ

  |   বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   38 বার পঠিত

চীনের নতুন মানচিত্রে যুক্ত হলো ভারতের অরুণাচল প্রদেশ

চীনের প্রকাশিত নতুন মানচিত্রে ভারতের গোটা অরুণাচল প্রদেশকে ঢোকানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বেইজিং নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অংশ আকসাই চীনকে যুক্ত করা হয়েছে। এই অংশকে ভারত লাদাগের অংশ বলে দাবি করে। আঞ্চলিক রাজনীতি মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের এই দুই অংশই শুধু নয়, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরকেও বেইজিং তাদের মানচিত্রে যুক্ত করে ফেলেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

সোমবার ২৮ আগস্ট তারা নতুন যে মানচিত্র (চায়না স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ, ২০২৩ এডিশন) প্রকাশ করেছে, তাতে গোটা অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশে ঢোকানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দুই দেশের সীমান্তবর্তী আকসাই চীনকেও, যা বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে।

চীনের প্রাকৃতিক সম্পদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর চূড়ান্ত সীমান এই মানচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশকে চীনের সাউথ তিব্বত অঞ্চল হিসেবে ধরা হয়েছে। যা চীন ১৯৬২ সালের যুদ্ধে দখল নেয়। তবে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ যা অনন্তকাল ভারতের অঙ্গ হয়ে থাকবে।

সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেন্সবার্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের বৈঠকের পরই নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করল বেইজিং। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস ‘এক্স’ হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার) মারফত এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, চীনের সীমারেখা ও আন্তর্জাতিক নীতি মেনেই এই মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি–২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের ভারতে আসার কথা। তার আগেই এই মানচিত্র প্রকাশ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চরম বৈরিতা উসকে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা।

বৈশ্বিক শক্তি চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক শক্তি ভারতের সীমান্ত বিরোধ গত ছয় দশকের। ২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর সম্পর্ক চরম অবনতি হয়। ভারত সরকারিভাবে স্বীকার না করলেও বিরোধীদের অভিযোগ, ওই সময় লাদাখের অন্তত ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা চীনা ফৌজ গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর ২০২০ সালের সংঘর্ষ পূর্ববর্তী স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারত বারবার দাবি জানিয়ে আসলেও চীন এখনো তা মানেনি।

ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার এখনো চীনের নতুন মানচিত্র প্রকাশের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিরোধীদল কংগ্রেস সরকারের উদ্দেশে বলেছে, শি চিন পিংকে যেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো না হয়। বেইজিং বেআইনিভাবে ভারতের জমি দখল করে রেখেছে। এবার গোটা প্রদেশকে তাদের মানচিত্রে ঢুকিয়ে ফেলেছে।

Facebook Comments Box
বিষয় :

Posted ২:০৮ এএম | বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।