| বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 29 বার পঠিত
শেষ পর্যন্ত লন্ডনে তারেক রহমানের সামনে প্রকাশ্যেই নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন মেয়র আরিফ। তবে শেষ লাইনে তারেক রহমানের একটি সিগন্যাল পেয়েছেন এমন কথা বলায় এখনও দোটানায় নেতাকর্মীরা। নগরবাসীও অপেক্ষায় তার মুখ থেকে পরিষ্কার ‘হ্যাঁ অথবা না’ শব্দ শোনার জন্য।
লন্ডনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবদলের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মেয়র আরিফ। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে শুধু এই কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকলেন না। পরের কথায় বলে দিলেন- ‘পেয়ে গিয়েছেন সিগন্যাল’!
লন্ডনের মেনর পার্ক এলাকার রয়েল রিজেন্সি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সামনে এমন বক্তব্যে দেন মেয়র আরিফ।
বক্তব্যের শুরুতে অনুষ্ঠানে আসা সবাইকে সিলেট নগরবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। পরে দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দেন- “বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, সেজন্য সিলেট সিটি নির্বাচনে আমিও প্রার্থী হচ্ছি না।” তবে পরের কথাতেই তারেক জিয়ার সাথে সাক্ষাতে ‘সিগন্যাল পেয়েছেন’ বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
তিনি যখন এই কথা বলছিলেন তখন তার মুখে হাসি ছিল। এসময় মঞ্চে বসা তারেক রহমানও হাসতে থাকেন। এই হাসির রহস্য হয়তো শুধু তারা দু’জনেই জানেন।
মেয়র আরিফ বলেন, “সিলেট সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আমার নেতা তারেক জিয়ার কাছ থেকে সিগন্যাল পেয়েছি। তবে সেটা গ্রিন না রেড তা সময়ই বলে দেবে।”
তবে তার এমন বক্তব্যে নতুন কিছুর আভাস পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, তাই বিএনপি থেকে হয়তো সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না আরিফ। হতে পারে এটি দল থেকে পদত্যাগ করে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিগন্যাল’!
আবার অপর এক পক্ষ বলছেন, সিটি মেয়র নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে তারেক রহমানের কাছ থেকে আরও বড় কিছুর সিগন্যাল পেয়েছেন আরিফ। বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে মেয়র আরিফ বিএনপির প্রার্থী হতে চান। সেক্ষেত্রে সিলেট ১ অথবা ৪ এর সিগন্যাল পেয়েছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সব কেন্দ্র মিলিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯২ হাজার ৫৯৩ ভোট। আর বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৬ হাজার ৩৯৭। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের চেয়ে ৬ হাজার ১৯৬ ভোট বেশি পেয়েছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী।
সবশেষ ২০১৮ সালের সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন আসাদ উদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক জাকির হোসেন। এরপর বদর উদ্দিন কামরান মনোনয়ন পেলেও ওই নির্বাচনে পরাজয় বরণ করেন আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে।
এদিকে ২০২০ সালে কামরানের মৃত্যুর পর থেকে মেয়র পদে আরিফুল হক চৌধুরীকে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জ করার মতো প্রার্থীর অভাব দেখা দেয় সিলেটে। তবে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিসিক কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু। সম্প্রতি লন্ডন থেকে সিলেটে এসে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
Posted ২:৫২ এএম | বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।