শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

মৃত আত্মীয়ের মাগফিরাত কামনায় যা করনীয়

  |   শনিবার, ২০ মে ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   5 বার পঠিত

মৃত আত্মীয়ের মাগফিরাত কামনায় যা করনীয়

মৃতরা তাদের জীবিত প্রিয় মানুষের উপহারের অপেক্ষায় থাকে, জীবিতরা যখন তাদের মাগফিরাতের জন্য কোনো নেক আমল করে কিংবা দোয়া করে, এতে তাদের ভীষণ উপকার হয়। তারা এতে ভীষণ খুশি হয়। একজন জীবিত ব্যক্তি সারা দুনিয়া পেলে যতটা খুশি হবে, এর চেয়ে বেশি খুশি হয়। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই মৃত ব্যক্তি হলো পানিতে পড়া ব্যক্তির মতো সাহায্যপ্রার্থী। সে তার পিতা-মাতা, ভাই-বন্ধুর দোয়া পৌঁছার প্রতীক্ষায় থাকে। তার কাছে যখন দোয়া পৌঁছে, তখন তার কাছে সারা দুনিয়া ও দুনিয়ার সব জিনিসের চেয়ে এই দোয়া বেশি প্রিয় হয়। আর আল্লাহ তাআলা দুনিয়াবাসীর দোয়ায় কবরবাসীদের পাহাড় পরিমাণ রহমত পৌঁছান এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্য জীবিতদের পক্ষ থেকে হাদিয়া (উপহার) হলো তাদের জন্য ক্ষমা চাওয়া। (শুআবুল ঈমান)

তাই জীবিতদের উচিত, মৃতদের মাগফিরাতের দোয়া করা। সাধ্যমতো নেক আমল করে তাদের জন্য ঈসালে সওয়াব করা। নিম্নে এমন কিছু আমলের বিষয় তুলে ধরা হলো, যেগুলো মৃতদের জন্য করা যেতে পারে।

বেশি দোয়া করা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো লোক মারা যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিন প্রকার আমল (জারি থাকে)। (প্রথম) সদকায়ে জারিয়া (চলমান সদকা); (দ্বিতীয়) ওই ইলম, যা দ্বারা অন্য লোক উপকৃত হয়; (তৃতীয়) নেক সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (নাসায়ি, হাদিস : ৩৬৫১)

এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, মৃতদের জন্য আমরা খুব বেশি বেশি দোয়া করতে পারি। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেবেন।

কোরআন তিলাওয়াত করা : মাকিল ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ করো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩১২১)

অতএব, নিজের মৃত আত্মীয়দের ইসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে কাউকে দিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করানো উচিত নয়।

সদকা করা : মৃতদের ইসালে সওয়াব করার একটি উত্তম পদ্ধতি হতে পারে সদকা। কারো সামর্থ্য থাকলে দান-সদকার মাধ্যমে মৃত আত্মীয়দের ইসালে সওয়াব করা যেতে পারে। কিংবা স্থায়ী জনকল্যাণমূলক কাজও করা যেতে পারে।

হজ করা : বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এক নারী এসে জিজ্ঞেস করল, …আমার মা হজ না করে ইন্তেকাল করেছেন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ করতে পারব? তিনি বলেন, (হ্যাঁ), তুমি তার পক্ষ থেকে হজ করো। (তিরমিজি, হাদিস : ৯২৯)

এ হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, মানুষ চাইলে তাদের মৃত আত্মীয়দের ইসালে সওয়াবের নিয়তে হজ করতে পারবে। তা ছাড়া হজ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত, যা মৃত ব্যক্তির সওয়াবের পাল্লা অনেক বেশি ভারী করে দিতে পারে।

ওমরাহ করা : অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল ওমরাহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা হজ ও ওমরাহ ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে থাকো। এ দুটো দারিদ্র্য ও গুনাহকে এমনভাবে দূর করে দেয়, যেমন হাঁপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে দেয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৮১০)

এ ছাড়া মিসকিনদের খাবার দেওয়া, নফল নামাজ পড়া, চিকিৎসাসেবাসহ যেকোনো সওয়াবের কাজ করেই মৃতদের জন্য ইসালে সওয়াব করার সুযোগ আছে। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, এতে যেন কোনো নাজায়েজ, বিদআত ও কুপ্রথার অনুপ্রবেশ না ঘটে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।

Facebook Comments Box

Posted ৫:২০ এএম | শনিবার, ২০ মে ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।