| বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 22 বার পঠিত
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বুধবার সুপ্রিম কোর্ট (অভ্যাস এবং পদ্ধতি), বিল ২০২৩ পাস করেছে, যার লক্ষ্য পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির (সিজেপি) অফিসকে স্বতন্ত্র ক্ষমতায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা নেয়ার ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা।
আইন ও বিচার বিষয়ক স্থায়ী কমিটি মন্ত্রিসভার প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুমোদনের কয়েক ঘণ্টা পর আইন ও বিচার বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজম নাজির তারার উপস্থাপিত বিলটি পাস হয়।
পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, আইনমন্ত্রীকে সম্বোধন করার সময়, উদ্যোগটিকে ‘খুব কম এবং খুব দেরী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছিলেন যে, এটিকে ‘বিচারক ক্ষমতায়ন’ বিল বলা উচিত।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘যদি প্রধান বিচারপতির শক্তি খর্ব করতে আইন না বানানো হয়, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’ এরপরই ওই বিল পাকিস্তানের সংসদে পেশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ও এই সংক্রান্ত বিল পেশ এমন সময় ঘটল, যখন পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতেরই দুই বিচারপতি প্রধান বিচারপতির বিবেচনাধীন শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ওই বিচারপতিদের দাবি ছিল শীর্ষ আদালত কখনও একজন ব্যক্তি তথা প্রধান বিচারপতির একক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। এই প্রসঙ্গে পাক সংবিধানের ১৯১ ধারার উল্লেখ করে তারা বলেন, সমস্ত বিচারপতির সম্মতিতে তৈরি এক আইন-নির্ভর বিচারব্যবস্থার দ্বারাই সুপ্রিম কোর্টকে চালাতে হবে।
আসলে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নির্বাচন নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এরপর থেকেই পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে। উল্লেখ্য, বহু বছর ধরেই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এ প্রথম এর বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাতে দেখা গেল দুই বিচারপতিকে। সূত্র: ডন।
Posted ২:২৯ এএম | বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।