বুধবার ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

তিন তারকা মিলেও পারলোনা ঘরের মাঠে পিএসজিকে হার ঠেকাতে

  |   মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   24 বার পঠিত

তিন তারকা মিলেও পারলোনা ঘরের মাঠে পিএসজিকে হার ঠেকাতে

শুরু থেকেই ছিলেন লিওনেল মেসি ও নেইমার। বিরতির পর তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন চোট নিয়ে আলোচনায় থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও। তবে এই তিন তারকা মিলেও পারেননি ঘরের মাঠে পিএসজিকে হার থেকে বাঁচাতে।

চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। নিজেদের মাঠে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় কোণঠাসা হয়ে ছিল প্যারিসের ক্লাবটি। শেষ দিকে এমবাপ্পে নামার পর অবশ্য কিছুটা গতি আসে পিএসজির খেলায়। অফসাইডে গোল বাতিল না হলে ফিরতে পারত সমতাও। তবে দিনটি যে পিএসজির ছিলই না। শেষ পর্যন্ত তাই হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা।

প্যারিসে এদিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় বায়ার্ন। বল পায়ে প্রথম মিনিট থেকে পিএসজির ডি-বক্সের আশপাশ থেকে হুমকি তৈরির চেষ্টা করে জার্মান ক্লাবটি। বায়ার্নের হাই-প্রেসিং ফুটবলের সামনে থিতু হতে কিছুটা সময় লাগে মেসি-নেইমারদের। চাপের মুখে পিএসজিকে এ সময় প্রতি-আক্রমণ নির্ভর খেলায় মনোযোগ দিতে হয়।

শুরুতে মেসি একাধিক আক্রমণ তৈরি করলেও, তা আলোর মুখ দেখেনি। বায়ার্ন রক্ষণের আশপাশে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে সেই প্রচেষ্টাগুলো। ফিনিশিং নিয়ে অবশ্য ভুগতে হচ্ছিল বায়ার্নকেও। চাপ তৈরি করেও তাই পিএসজিকে বিপদে ফেলতে পারছিল না তারা। কিছুটা কৃতিত্ব অবশ্য পিএসজির রক্ষণকেও দিতে হবে। বার্য়ানের কিছু আক্রমণ দারুণভাবে রুখেছেন সের্হিও রামোসরা। ২৭ মিনিটে রামোস এগিয়ে এসে দারুণভাবে উদ্ধার করেন পিএসজিকে।

মেসি-নেইমাররা অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন চেষ্টা ম্যাচে দাপট প্রতিষ্ঠার। তবে বায়ার্নের চাপে তা হয়ে ওঠেনি। এমনকি বার্য়ার্নের জাল লক্ষ্য করে প্রথমার্ধে একটা শটও নিতে পারেনি পিএসজি। দলটি অবশ্য চাইলে নিজেদের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতে পারে। বায়ার্ন নিজেদের তৈরি করা সুযোগগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে প্রথমার্ধেই একাধিক গোল হজম করতে পারত পিএসজি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ডি-বক্সের কাছাকাছি থেকে পাওয়া ফ্রি-কিক মানব-দেয়ালে মেরে নষ্ট করেন মেসি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপ্পেকে দেখা যায় সাইডলাইনে গা গরম করতে। তবে মাঠের খেলা যেন প্রথমার্ধেরই পুনরাবৃত্তি। আলাদা কিছু করতে পারছিলেন না মেসি-নেইমারও। এই তারকারা খোলস ছেড়ে বেরোতে না পারলেও, বায়ার্ন ঠিকই পেয়ে যায় নিজেদের প্রাপ্য গোলটি। আলফোনসো ডেভিসের মাপা ক্রসে দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্য ভেদ করেন কিংসলে কোমান।

গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ৫৭ মিনিটে এমবাপ্পেকে নামান পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। তবে এমএনএম ত্রয়ী একসঙ্গে মাঠে নিজেদের ছাপ রাখতে পারছিলেন না। উল্টো চুপো-মোতিংয়ের প্রচেষ্টা বৃথা না গেলে দ্বিতীয় গোলটা প্রায় খেয়েই ফেলছিল পিএসজি।

এরপর অবশ্য সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল পেতে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে। একই আক্রমণে গোল পাননি নেইমারও। এরপর এমবাপ্পে গোল করলেও তা বাতিল হয় অফসাইডে। শেষ দিকে এমবাপ্পের কারণেই মূলত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারে পিএসজি। তবে চেষ্টা করেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত গোলটি। পিএসজিকে মাঠ ছাড়তে হয়ে হার নিয়ে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:০৭ পিএম | মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।