নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 7 বার পঠিত
দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। যাকে রেলের ভাষায় বলা হয় বাকলিং। এমন পরিস্থিতিতে পাকশী বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইনে দিনে ট্রেনের গতি কমিয়ে চলার স্ট্যান্ডিং অর্ডার বা স্থায়ী আদেশ দেওয়া হচ্ছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যশোর ক্যান্টমেন্ট স্টেশন থেকে দর্শনা জংশন পর্যন্ত রেলরুটে ট্রেনের গতি কমানোর স্থায়ী আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ লাইনে ট্রেনের গতি ৮০ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৬০ কিলোমিটার করতে বলা হয়েছে। এটি শুধু ২৭ এপ্রিলের জন্য প্রয়োজ্য থাকবে। পরবর্তীতে তাপমাত্রার অবস্থা বুঝে নিদের্শনা প্রদান করা হবে।
রেলওয়ে কর্মকর্তা জানান, আবহাওয়া অফিসে যে তাপমাত্রা থাকে তার চেয়ে ১০-১৫ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা থাকে রেললাইন। রেললাইনে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে রেললাইন পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং প্রয়োজনে ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। কোথাও বাকলিং বা লাইন বেঁকে যাচ্ছে কি না সেটা দেখার জন্য পেট্রোলিং (লোকবল নিয়োগ) করা হয়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেলের পিডব্লিউআই রেললাইনের তাপ পরিমাপ করে। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা দিতে পারে।
পাকশী ডিভিশনাল ট্রেন কন্ট্রোলার (ডিটিএনএন) আলমগীর হোসেন বলেন, ট্রেনে গতি কমানোর বিষয়টি প্রকৌশলী বিভাগ দেখভাল করে। তারা কোনো নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী ট্রেন চলে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী (ডিএন-২) বীরবল মন্ডল বলেন, লোহা অতিরিক্ত তাপে সম্প্রসারিত হয়। সেজন্য তাপমাত্রা বেশি হলে রেললাইন সম্প্রসারিত হয়ে বেঁকে যেতে পারে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেললাইন সম্প্রসারিত হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য পেট্রোলিং টিম রয়েছে। প্রতি এক কিলোমিটার এলাকার জন্য একজন করে লোক রয়েছে যারা সার্বক্ষণিক দেখভাল করছে রেললাইনের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না।
Posted ৫:৫৩ এএম | রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।