বুধবার ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

ঢাকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত রংপুরের

  |   শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   24 বার পঠিত

ঢাকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত রংপুরের

মিরপুরের ম্যাচটি ছিল লো স্কোরিং। টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৩০ রানের বেশি করতে দেয়নি রংপুর। সোহানের ৩৩ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে মনে হচ্ছিল রংপুর জয় পাবে অনায়েসে। কিন্তু তার বিদায়ের পর নাসিরের ঘূর্ণিতে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ায়। ২২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রংপুর কঠিন চাপে পড়ে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৫ রান দরকার রংপুরের। মুক্তার আলীর প্রথম বলে এক রান নেন আজমতউল্লাহ। পরের বলে হারিস রউফের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। তৃতীয় বল ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে পাকিস্তানের এ ক্রিকেটার দলের জয় নিশ্চিত করেন।

লক্ষ্য তাড়ায় শরিফুল নিজের প্রথম দুই ওভারে তুলে নেন মোহাম্মদ নাঈম (০) ও মেহেদী হাসানের (৪) উইকেট। সেখান থেকে রনি তালুকদার ও সোহান ৬৫ বলে ৯৩ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে সোহান তুলে নেন ফিফটি। ৩১ বলে পৌঁছে যান মাইলফলকে। রনি তালুকদার শান্ত মেজাজে খেলে দলের স্কোর বাড়ান। কিন্তু মেজাজ হারিয়ে এ দুই ব্যাটসম্যানই উইকেট বিসর্জন দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন।

নাসিরের বল উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন রনি (৩৪)। সোহান শরিফুলের বাউন্সার তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ৬১ রানে। ৩৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। এরপর একে একে বিদায় নেন শোয়েব মালিক (৭), মোহাম্মদ নওয়াজ (১), শামীম হোসেন (৮) ও রাকিবুল হাসান (০)। ক্যারিয়ারের ৫০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে মালিক ১ ছক্কায় ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে নাসির ৪ উইকেট নিয়ে রোমাঞ্চ ছড়ালেও শেষ হাসিটা হাসে রংপুর। ২০ রানে ৪ উইকেট নেন অফস্পিনার।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। দলটির আগের ম্যাচের নায়ক মোহাম্মদ মিথুন দারুণ বাউন্ডারিতে রানের খাতা খুললেও রান আউটে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। প্রথমবার তিনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক নাসির হোসেন টিকতে পারেননি আজমতউল্লাহর সুইং ডেলিভারিতে। ভেতরে ঢোকানো বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ২ রানে। অফফর্মে থাকা সৌম্যর লড়াই চলছে এখনও। আজমতউল্লাহর অফস্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৩ রানে।

১১ রানে ৩ উইকেট হারানো ঢাকাকে উদ্ধার করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আলেক্স ব্লেক। দুজনের সামান্যতম প্রতিরোধে কিছুটা লড়াই করে ঢাকা। কিন্তু তাদের দ্রুত বিদায়ের পর আবার ভেঙে পড়ে। মেহেদী হাসানের বলে আব্দুল্লাহ এলবিডব্লিউ হন ২৩ রানে। ১৮ রানে অ্যালেক্স ব্লেক ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ৬৭ রানেই নেই ৫ উইকেট। সেখানে এক’শ রানও লাগছিল দূরের পথ। কিন্তু আরিফুল দলকে টেনে নেন। তার ২৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রানের ইনিংসটি ছিল মান বাঁচানোর। সঙ্গে আমির হামজার ১১ বলে ১৫ রানের লড়াকু ইনিংস প্রশংসা কুড়ায়।

রংপুরের বোলিং বেশ আঁটসাঁট হলেও অতিরিক্ত খাতেই ১৪ রান বিলিয়ে আসে। আজমতউল্লাহ ২২ রানে ২ উইকেট নিয়ে তাদের সেরা বোলার। ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান, হারিস রউফ, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ।

Facebook Comments Box

Posted ১:৪২ এএম | শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।