| বুধবার, ১৭ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 26 বার পঠিত
ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০–এ দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় নেতারা ও সামরিক জান্তা–সমর্থিত একটি গণমাধ্যম এ হিসাব দিয়েছে। গত রোববার অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে।
ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়া মোখার আঘাতে দেশটিতে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায় এবং কাঠের মাছ ধরার নৌকাগুলো ক্ষতিগ্রস্তত হয়। খবর এএফপির।।
রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বু মা এবং নিকটবর্তী খাউং ডোকে কার গ্রামে অন্তত ৪১ জন মারা গেছে বলে স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থলে এএফপি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী এমআরটিভি জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিতওয়ের উত্তরে রাথেদাউং শহরের একটি গ্রামে মঠ ধসে ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামে একটি ভবন ধসে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
সিতওয়ের কাছে বু মা গ্রামের প্রধান কার্লো বলেন, ‘আরও বেশি মৃত্যু হবে, কারণ একশোরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।’
এএফপি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে থাকা বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের সন্ধানে অন্যান্য বাসিন্দারা সমুদ্রতীরে ঘুরেছেন।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সোমবার বিশদ বিবরণ না দিয়ে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী অফিস বলেছে, তারা ঝড়ের আঘাতে রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসকারীদের মৃত্যুর খবর তদন্ত করছে।
তবে রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো ধরনের সহায়তা পৌঁছায়নি।
বাসারা গ্রামের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী কিয়াও স্বর উইন বলেন, কোনো সরকার, কোনো সংস্থা আমাদের গ্রামে আসেনি। আমরা দু’দিন ধরে কিছু খাইনি… আমরা কিছুই পাইনি। বলতে পারি, কেউ জিজ্ঞাসা করতেও আসেনি।
Posted ৩:৪১ এএম | বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।