শনিবার ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

গত ৬৩ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর্জেন্টিনায়

  |   বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   26 বার পঠিত

গত ৬৩ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর্জেন্টিনায়

চলতি মাসে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন স্থানে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটির জনজীবন।

জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পূর্ব-মধ্য আর্জেন্টিনায় মার্চের প্রথম ১০ দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। রাজধানী বুয়েন্স এইরেস ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিনই ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, দেশটিতে তাপমাত্রা প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। ফলে দেখা দিয়েছে খরা, নষ্ট হচ্ছে একের পর একর মাঠের ফসল। কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি।

আর্জেন্টিনায় সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ম্যাক্সিমিলিয়ানো হেরারা বলেন, এবার তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। মার্চ চলে আসার পরও তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।

সিএনএনকে হেরারা বলেন, ‘আর্জেন্টিনার ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি। লা নিনার প্রভাবে ‘উত্তপ্ত গ্রীষ্ম’ আশা করেছিলাম। কিন্তু বর্তমান তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ও অপ্রত্যাশিত। আগামী অন্তত পাঁচ মাস এমন অসহনীয় গরম সহ্য করতে হতে পারে।

আর্থডেইলি অ্যানালিটিক্সের বিশেষজ্ঞ মিকায়েল আত্তিয়া সিএনএনকে বলেন, আর্জেন্টিনার কর্ডোবা, স্যান্টা ফে ও উত্তর বুয়েন্স এইরেসের মতো কৃষিপ্রধান প্রদেশগুলোতে ভুট্টা ও সয়াবিনের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। গত ৩০ বছরের সবচেয়ে ভয়ানক খরা দেশটির ভুট্টা ও সয়াবিন উৎপাদনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে জানান এই কৃষি বিশেষজ্ঞ। এমনকি গত বছরের তুলনায় এবার ফসল উৎপাদনের হার অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এবারের অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির গম উৎপাদনও। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, গত বছরের তুলনায় এ বছর আর্জেন্টিনার গম রপ্তানি ২৮ শতাংশ কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোজারিও গ্রেনস এক্সচেঞ্জের কৃষি বিশেষজ্ঞ জুলিও ক্যালজাদা বলেন, কৃষকেরা প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন। এ সংকট দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

Facebook Comments Box

Posted ৭:৫৯ এএম | বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।