| মঙ্গলবার, ০২ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 16 বার পঠিত
প্রায় প্রতি ইনিংসে ১৮০-২০০-এর ঘরে রান দেখা আইপিএলে পুরো ধারার বিপরীতের এক ম্যাচ হয়েছে কাল লক্ষ্ণৌয়ে। ধীরগতির পিচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২০:ওভারে ৯ উইকেটে ১২৬ রান পর্যন্ত করেছে, জবাবে লক্ষ্ণৌ থেমেছে ১০৮ রানে।
কিন্তু আইপিএলে গতকাল এই ম্যাচ কিংবা এর ফল সবই পেছনের পাতায় চলে গেছে। বিরাট কোহলি যদি প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে তাকে জুতো দেখিয়ে কিছু একটা বলেন, কোহলি যা-ই বলে থাকুন না কেন, তার অর্থ অন্যরকম দাঁড়িয়ে যায়। লক্ষ্ণৌয়ের নাভিন-উল-হকের সঙ্গে ওই ঝামেলার পর ম্যাচ শেষে লক্ষ্ণৌ মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সঙ্গেও বেশ কথা কাটাকাটি হয়েছে কোহলির।
আচরণবিধি ভাঙার দায়ে কোহলি ও গম্ভীর দুজনকেই তাদের ম্যাচ ফি-র শতভাগ জরিমানা করেছে আইপিএল। তবে ম্যাচ ফি-তে পার্থক্যের কারণে দুজনের জরিমানার অঙ্কেও বিশাল পার্থক্য – কোহলির জরিমানা ১ কোটি ৭ লাখ রূপি, গম্ভীরের ২৫ লাখ। নাভিনের ৫০ শতাংশ জরিমানা হয়েছে, অঙ্কটা ১ লাখ ৮০ হাজার রূপির মতো।
ঝামেলার শুরু লক্ষ্ণৌ ইনিংসের ১৭তম ওভারে। হঠাৎ টিভিতে দেখা যায়, আম্পায়াররা এসে কোহলিকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন। এক ওভার পর সম্প্রচারক চ্যানেল পুরো ঘটনা দেখায়। তখন দেখা যায়, ক্রিজে থাকা লক্ষ্ণৌয়ের আফগান বোলার নাভিন-উল-হকের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল কোহলির। আম্পায়াররা দুজনের মাঝে এসে দাঁড়ালেও কথা কাটাকাটি চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে জুতার স্পাইক দেখিয়ে নাভিনকে কিছু একটা বলেন কোহলি।
এভাবে স্পাইক দেখানোতে ধারণা করা যেতে পারে, নাভিনের কোনো আচরণে আপত্তি জানাচ্ছিলেন কোহলি। কিন্তু ঝগড়ার এক পর্যায়ে এভাবে জুতা দেখানোর অর্থ তো উপমহাদেশে অন্যরকমই ধরে নেন অনেকে।
ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময়ও নাভিন কোহলিকে কিছু একটা বললে আবার লেগে যায় দুজনের। ম্যাক্সওয়েল এসে আলাদা করেন দুজনকে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য এর চেয়েও বড় ঝামেলায় জড়াতে হয়েছে কোহলিকে। হাত মেলানোর সময়ই লক্ষ্ণৌয়ের মেন্টর গম্ভীর বেশ ঝাঁকি দেন কোহলির হাতে, যাওয়ার সময় কিছু একটা মন্তব্যও করে যান। ব্যস, লেগে যায় দুজনের।
আবার ম্যাচের পর কোহলির সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন লক্ষ্ণৌয়ের কাইল মায়ার্স, গম্ভীর হঠাৎ উদয় হয়ে মায়ার্সকে নিয়ে যান। আবার কিছু একটা বলেন কোহলিকে। আবার ঝগড়া। সে দফায় এমনই কথা কাটাকাটি যে, লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল এসে অনেক চেষ্টাতেও যেন ছাড়িয়ে নিতে পারছিলেন না গম্ভীরকে।
কোহলি-গম্ভীরের ঝামেলার অবশ্য পুরোনো ইতিহাস আছে। গত ১৫ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে দুই দলের আগের ম্যাচে লক্ষ্ণৌ শেষ বলে জেতে ১ উইকেটে, সেদিন গম্ভীর ঠোঁটে আঙুল চেপে ধরে বেঙ্গালুরুর দর্শকদের চুপ থাকার ইঙ্গিত দেন। কাল অল্প রানের ম্যাচে প্রতিপক্ষের প্রতি উইকেটেই বুনো উদযাপন করেছেন কোহলি, এর মধ্যে একবার লক্ষ্ণৌয়ের দর্শকের দিকে তাকিয়ে গম্ভীরের ভঙ্গিতেই ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ থাকতে ইঙ্গিত করেন।
Posted ৬:১৪ এএম | মঙ্গলবার, ০২ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।