| মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 24 বার পঠিত
মানুষ যখন ঘুমন্ত, মুহূর্তেই মৃত্যু উপত্যকায় তুরস্ক ও সিরিয়া।স্থানীয় সময় ভোর চারটায় কেঁপে উঠল পায়ের তলার মাটি। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল অসংখ্য বাড়ি। নিমেষে মাটিতে মিশে গেল বহুতল ভবন। চারদিকে শুধু ধ্বংস্তূপ। তার নিচে চাপা পড়া মানুষ আর মানুষ। এমন কী অনেক পরিবারের কেউই বেঁচে নেই। নেই কোন কোন পরিবারের সমবেদনা জানার লোকও।
প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে চলে ভূ কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। আবারও, পরবর্তী পাঁচ ঘণ্টায় ২২ বার আফটার শকে’চলতে থাকে ধ্বংসলীলা। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের মতে, প্রথম আফটার শকের কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। দ্বিতীয় কম্পনে সবচেয়ে বেশি কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ভূমিকম্প অনুভূত হয় ইজিপ্টেও।
ভূ কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্ক। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। স্বভাবতই তুরস্কে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবেচেয়ে বেশি। কোনো কোনো কোনও পরিবারের সকল সদস্যই মৃত। আত্মীয় বিয়োগে কাঁদবার মানুষটিও জীবিত নেই। কোনও পরিবার একজনই হয়তো জীবিত। তিনিও ভারী কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়িপ এরদোগান টুইট করেছেন, ভূমিকম্পের ফলে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে দেশের। দেশবাসীদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার কর্মীরা সতর্ক রয়েছেন। উদ্ধারকাজে কোনও ত্রুটি নেই।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়োলু জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা তাদের সাধ্য মতো চেষ্টা চালাচ্ছে। তবুও আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এগিয়ে আসবে বলে অনুমান করা যায়। সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম
Posted ১:৪২ এএম | মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।