| বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 21 বার পঠিত
আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যেই পাঁচ সিটি করপোরেশনের ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিন ধাপে ঈদুল আজহার আগেই এসব সিটির ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে গাজীপুর, দ্বিতীয় ধাপে খুলনা-রাজশাহী এবং তৃতীয় ধাপে বরিশাল ও সিলেট সিটির ভোট অনুষ্ঠিত হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সংসদে ৭০-৮০টি আসনে ইভিএমে ভোট করবে কমিশন। একই সঙ্গে ঈদের পর আবুধাবিতে প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বুধবার নির্বাচন কমিশন সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘পাঁচটি সিটি নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের আগে করতে হবে। আগামী এপ্রিলে পবিত্র রমজান মাস শেষে এসএসসি পরীক্ষা ২৩ মে পর্যন্ত, ২৯ জুন ঈদুল আজহা। আর ঈদুল আজহার আগে এবং এসএসসি পরীক্ষা শেষে এই মধ্যবর্তী সময়ে আমরা এই পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজন করব। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তপশিল ঘোষণা করা হবে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি, পাঁচ সিটির ভোট, ইভিএম ইস্যু ছাড়াও প্রবাসী ভোটার নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়া ইসি সচিবসহ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে চলতি মাসের ১১ মার্চ। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী সিটির ক্ষণ গণনা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বরিশাল সিটি ভোটের ক্ষণ গণনা শুরু হবে ১৪ মে থেকে ১৩ নভেম্বর। সিলেট সিটি ৬ মে থেকে পরবর্তী নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে। ৬ নভেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
৭০-৮০টি আসনে ইভিএম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে ইসি : ইভিএমের নতুন প্রকল্প প্রস্তাব সরকার স্থগিত রাখার পর এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে থাকা মেশিনগুলোর ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওপর। মূলত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ ছাড় না হলে ইভিএম মেরামত সম্ভব নয়। এদিকে ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতে ১২৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা চেয়েছে।
কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন সব সময় বলে আসছে, ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের আপ্রাণ চেষ্টা করবে। আমরা সেই জায়গা থেকে সরে আসিনি। কত আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেই সংখ্যা নির্ভর করবে ব্যবহারযোগ্য ইভিএম মেশিনের ওপর। মেশিন যতগুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে কতগুলো সক্ষম ও ব্যবহারযোগ্য করতে পারব তার ওপর নির্ভর করবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘আমাদের ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম আছে, যেগুলো মেরামত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করব। মোট কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে, তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে। আমরা এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে টাকা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠাব। এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সেটা চূড়ান্ত করতে পারব। কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’
Posted ১১:৫৪ পিএম | বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।