| শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 25 বার পঠিত
বাংলাদেশকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ট্রানজিটের সুবিধা দিয়েছে ভারত। দিল্লি এয়ার কার্গোর মাধ্যমে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশকে তাদের পণ্য রপ্তানি পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে ভারতের ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস’ (সিবিআইসি)।
সিবিআইসির পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগ্রহী পক্ষগুলোর আবেদন খতিয়ে দেখার পর, ২০২০ সালের ২২ জুনের ২৯/২০২০-কাস্টমস সার্কুলারটি সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে- তাতে ভারত তার ভূখণ্ডের মাধ্যমে অর্থাৎ দিল্লি এয়ার কার্গোর মাধ্যমে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশকে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে। চলতি মাসের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে।’ বোর্ডের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে বলেও সংশোধনী বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২২ জুন থেকে ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল স্থল সীমান্তের শুল্ক স্টেশন থেকে সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে আকাশপথে ট্রানজিটের সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। সেই নিয়ম সংশোধন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেক্ষেত্রে মূলত কার্গো অপসারণ এবং উন্নত লজিস্টিক দক্ষতার জন্য এবার থেকে পেট্রাপোল স্থল সীমান্তের শুল্ক স্টেশন থেকে সড়কপথে দিল্লির এয়ার কার্গো কমপ্লেক্স হয়ে তৃতীয় দেশে ট্রানজিটের সুবিধা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।
সিবিআইসির পক্ষ থেকে জারি করা ওই সংশোধনী বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, বিভিন্ন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ও ভারতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বিবেচনা করে ২০২০ সালের ২২ জুনের ২৯/২০২০-কাস্টমস সার্কুলারটি সংশোধন করে তাতে অনুচ্ছেদ ৩-এ এবং উপ অনুচ্ছেদ ৩.২ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এব্যাপারে দিল্লির ক্যাল লজিস্টিকস সলিউশনস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক বিনীত মালহোত্রা জানান, ভারত উপমহাদেশে দিল্লি এয়ার কার্গো একটি অন্যতম প্রধান বিমান মালবাহী হবে। ভারতের মাধ্যমে ট্রানজিট সুবিধা পাওয়ায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য খরচ বেশ কিছুটা সাশ্রয় হবে। কারণ এক্ষেত্রে তাদের এয়ার কার্গো ভাড়া অনেকটাই কম। তাছাড়া দিল্লি এয়ার কার্গোর মাধ্যমে ট্রানজিটের সুবিধা পাওয়ায় আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে পারবে।
মালহোত্রার অভিমত ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়া সহ বিশাল বাজারে বাংলাদেশ সরাসরি পৌঁছাতে পারে না। কিন্তু দিল্লি এয়ার কার্গোর মাধ্যমে ট্রানজিটের সুবিধা পাওয়ায় ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার বিস্তৃত বাজার এবার বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের নাগালে চলে আসবে।
Posted ১:১০ পিএম | শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।