শুক্রবার ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

২১ লাখ ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি, দেশে আসেনি এক ডলারও

  |   বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   23 বার পঠিত

২১ লাখ ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি, দেশে আসেনি এক ডলারও

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসব রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয় মালয়েশিয়া, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয়। তবে এসব দেশ থেকে রপ্তানির এক ডলারও দেশে আসেনি।রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২১ লাখ ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক। কারণ রপ্তানির কাজে জাল দলিল ব্যবহার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের অভিযোগ।

বৈধপথে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থ পাচারের এমন অভিনব এক ঘটনা উদ্‌ঘাটন করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এটি শনাক্ত করার আগে ৮৫টি চালানে ২১ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়ে গেছে। রপ্তানির চালান প্রস্তুতের সময় একেবারে শেষ মুহূর্তে ২ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের ৯টি চালান জব্দ করেছেন কর্মকর্তারা।

চালানটি রপ্তানি হয়েছে ঢাকার সাবিহা সাইকি ফ্যাশনের নামে। গত ৩১ জানুয়ারি প্রথম জালিয়াতি শনাক্ত করার পরপরই সাবিহা সাইকি ফ্যাশন ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এই চালানটি রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে কাস্টমস এজেন্ট ছিল লিমাক্স শিপার্স লিমিটেড।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, ৩১ জানুয়ারি পতেঙ্গার একটি বেসরকারি ডিপোতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের একটি দল। জালিয়াতির অভিযোগে সেখানে ২ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের ৯টি চালানের রপ্তানি স্থগিত করা হয়। রপ্তানিকারকের ব্যাংক হিসেবে নাম ছিল অগ্রণী ব্যাংক। সে অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংকের কাছে তথ্য চাইলে তারা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানায়, নথিগুলো অন্য রপ্তানিকারকের নামে ইস্যু করা হয়েছে। অর্থাৎ অন্য রপ্তানিকারকের বিক্রয় চুক্তি কিংবা ঋণপত্রের মাধ্যমে এসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

জানতে চাইলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এসব চালান জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি হয়েছে। এতে রপ্তানির বিপরীতে বিদেশি মুদ্রা বৈধভাবে দেশে আসার সুযোগ নেই। রপ্তানির টাকা মূলত পাচার হয়ে গেছে।  

জালিয়াতির এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অধিদপ্তর।

রপ্তানি চালান শুল্কায়ন করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা। গোয়েন্দা অধিদপ্তর এই ঘটনা শনাক্ত করার পর সংস্থাটিও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:১৮ পিএম | বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।