নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 105 বার পঠিত
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা ও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বৈদেশিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউএসএআইডির প্রশাসক, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরিশাস, কানাডা, ইতালি, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ ও নেদারল্যান্ডসের নেতাদের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি সার্ককে পুনরুজ্জীবিতকরণে নেতৃত্ব দেওয়া, আসিয়ানে যোগ দেওয়াসহ বাংলাদেশকে অনেকগুলো আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতায় যুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন।
জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য, চীনসহ বিশ্বের বড় বড় প্রায় সব দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ আর্থিক, কেউ প্রযুক্তিগত উন্নয়নে, কেউ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে, আবার কেউ বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ আগ্রহী। এক কথায়, অধ্যাপক ইউনূসের এই কূটনৈতিক তৎপরতা বাংলাদেশের উন্নয়ন, সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে একটা প্রায় মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে ইউনূস সরকার টেনে তুলছেন। এর আগে কি কখনো শুনেছেন যে কোনো দেশে একসঙ্গে দশটি ব্যাংক দেউলিয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে। অথচ বাংলাদেশে তা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর দেউলিয়াত্ব, বড় বড় প্রকল্পের নাম করে অর্থ লুটপাট, বিদেশে অবৈধ অর্থ পাচার, মুমূর্ষু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতির বেহাল দশা সবই দৃশ্যমান হয়েছে। তা ছাড়া দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আদালত, সচিবালয়, স্থানীয় প্রশাসনসহ সম্পূর্ণ প্রশাসনযন্ত্র এবং প্রধানমন্ত্রীসহ সব এমপি ও মন্ত্রী সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ফলে দেশে জুলাই বিপ্লবের মতো এত বড় একটি গণ–অভ্যুত্থানের পর দুর্ভিক্ষ হওয়া অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স ও ইউনূস সরকারের নেতৃত্বে সেই অর্থনীতি এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কেউ না বুঝলেও একজন অর্থিনীতিবিদ হিসেবে আমি বুঝি এটি কত বড় সফলতা। রাজনৈতিক সংকট, শত শত আন্দোলন, প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা এবং প্রতিবেশী দেশের প্রোপাগান্ডার কথা না হয় এই মুহূর্তে বাদই দিলাম।
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের কাছে ক্রমেই একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সরকার হিসেবে স্বীকৃত হচ্ছে। এটি পতিত হাসিনা সরকার, তাঁর দল এবং দিল্লির বড় মাথাব্যথার কারণ। দিল্লির দুঃখ বোঝা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। দেখুন, দিল্লি এখনো ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেনি। কিছুদিন আগে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি বলেছেন, বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। এর মানে ইউনূস সরকার থাকাকালীন দিল্লি ঢাকার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরিতে রাজি নয়।
ভারতের মিডিয়াগুলো ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর দিল্লির মূল প্রোপাগান্ডা হলো বাংলাদেশে মৌলবাদীর উত্থান হচ্ছে। এই বানোয়াট ন্যারেটিভের মাধ্যমে দিল্লি দীর্ঘ সময় ধরে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেছে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। এখনো সেই ন্যারেটিভ তারা ব্যবহার করে চলেছে। অথচ দিল্লির বর্তমান সরকার নিজেই একটি মৌলবাদী সরকার।
দিল্লির আরেকটি ন্যারেটিভ হলো বাংলাদেশে হিন্দুরা কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের হাতেই নিরাপদ ছিল। হাসিনা সরকার না থাকায় এখন নাকি বাংলাদেশের হিন্দুরা নিরাপদ নয়। অনেক ভারতীয় মিডিয়া প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যে বাংলাদেশে এখন ব্যাপক নির্যাতন, এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছে।
এই প্রোপাগান্ডার জবাবে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার ভারতীয় মিডিয়াসহ সব আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশে এসে প্রকৃত অবস্থা স্বচক্ষে দেখে যাওয়ার জন্য। অনেক আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশে গেছে এবং পরবর্তী সময়ে রিপোর্ট করেছে। তারা বলছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা এখন হাসিনা সরকারের সময়ের চেয়ে ভালো আছে।
সত্যি কথা হলো, দিল্লি বাংলাদেশ থেকে আগের মতো ইচ্ছামাফিক সুযোগ–সুবিধা পাচ্ছে না। শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, ভারতকে তিনি এত কিছু দিয়েছেন যে ভারত সারাজীবন মনে রাখবে। হাসিনার মন্ত্রীরা এমনকি দিল্লি-ঢাকার সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই অসম সম্পর্কে বাংলাদেশ দিল্লিকে শুধু দিয়েই গেছে। বিনিময়ে শেখ হাসিনা ও তাঁর দল ক্ষমতা পেয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ কিছুই পায়নি।
বাংলাদেশ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি। বর্ষায় বন্যায় ডুবেছে আর গ্রীষ্মে খরায় শুকিয়েছে। সীমান্তে ফেলানীরা বিএসএফের গুলি খেয়ে জীবন দিয়েছে, সরকার টুঁ শব্দটিও করেনি। সীমান্তে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে, হাসিনা সরকার ছিল নির্লিপ্ত। কিন্তু এখন ইউনূস সরকার কথা বলে, প্রতিবাদ করে। সেখানেই যত সমস্যা। বাংলাদেশের ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪–এর ভোটারবিহীন নির্বাচনে শেখ হাসিনা সরকারকে সহযোগিতা করেছে এবং দিল্লি সবার আগে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতকে বলা হয়, এটি একটি বড় গণতান্ত্রিক দেশ। তবে কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশ আরেকটি দেশের অগণতান্ত্রিক সরকারকে স্বীকৃতি দিল?
বাংলাদেশের মানুষ মনে করে দিল্লি অধ্যাপক ইউনূস সরকারকে বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল করতে চেয়ে বিফল হয়েছে। হাজারো খুনের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা ও তাঁর দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ভারতে ওয়েলকাম করা, বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির হাজারো চেষ্টা, মৌলবাদ ও সংখ্যালঘু ট্রাম্পকার্ড ব্যবহার করা, ভারতীয় মিডিয়ার হাজারো প্রোপাগান্ডা, সীমান্তে বিশৃঙ্খলা তৈরি, ভিসা বন্ধ করে দেওয়া, পেঁয়াজ আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য রপ্তানি বন্ধ করাসহ এমন কিছু নেই যে দিল্লি করছে না। কিন্তু তারা অধ্যাপক ইউনূসের সরকারকে একবিন্দুও টলাতে পারেনি। শেষমেশ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দিয়ে ইউনূস সরকারকে ঝামেলায় ফেলবেন বলে দিল্লির আশাও ভেস্তে গেছে। সে কারণে দিল্লি চায় বাংলাদেশে যেন দ্রুত নির্বাচন হয়। নির্বাচন–পরবর্তী যে দল ক্ষমতায় আসবে তাদের নেতাদের বেচাকেনা করা দিল্লির জন্য কঠিন হবে না।
অন্যদিকে অধ্যাপক ইউনূস বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে শেখ হাসিনাসহ পতিত সরকারের সব দুর্নীতিবাজের নিশ্চিত বিচার হবে। আওয়ামী লীগের ভয় হলো অধ্যাপক ইউনূস ক্ষমতায় থাকলে তাদের গুম, খুন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের কঠিন শাস্তি হবে। জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্ট, গুম কমিশনের রিপোর্টসহ হাসিনার সরকারের সব গুম-খুনের অকাট্য প্রমাণসহ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
অর্থনৈতিক হোয়াইট পেপার স্পষ্ট করে দিয়েছে শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প আসলে তাঁর সমুদ্রসম দুর্নীতি ঢাকার প্রয়াস। তা ছাড়া ইউনূস সরকার কর্তৃক গঠিত প্রায় সব কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এতে দুর্নীতির পূর্ণ চিত্র বেরিয়ে আসছে। দেশে কোথায় কোথায় সংস্কার দরকার কমিশনগুলো তার একটি চিত্র তুলে ধরেছে। আর সরকার চাচ্ছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে। সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেশে লুটপাট, দুর্নীতি, দখল, চাঁদাবাজি, দলীয়করণ, জনগণের বাক্স্বাধীনতা হরণ, ভোট চুরি করা অনেক কঠিন হবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে আর স্বৈরাচারী শাসন চলবে না।
অধ্যাপক ইউনূস সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। প্রথমে তারা যৌক্তিক সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বললেও কিছুদিন পর থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করেছে। তারা ধৈর্য ধরতে চাচ্ছে না, কারণ তাদের কাছে ক্ষমতার সিঁড়ি সামনে অথচ তাদের সিঁড়িতে উঠতে দেরি হচ্ছে। তারা ক্ষমতায় এসে দেশের কী উন্নতি করতে পারবেন বা পারবেন না, তা তাদের কাছে মুখ্য নয়। তাদের কাছে মুখ্য হলো তারা অনেক বছর ক্ষমতার বাইরে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষমতায় যাওয়া। তাদের অনেক নেতা মন্ত্রী হবেন, দেশ-বিদেশ ঘুরবেন, কিছু আয় উন্নতি হবে, তাই তাদের এত তাড়া। প্রশ্ন হলো, দেশপ্রেমই যদি মুখ্য হয়, তবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এত তাড়া কিসের? বিএনপি আর আওয়ামী লীগ মিলে দশকের পর দশক দেশ শাসন করেছে। দেশের গুণগত কোনো পরিবর্তন কি এসেছে? দেশে কি টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে? চাঁদাবাজি, দখল ও দুর্নীতি কি বন্ধ হয়েছে?
একটি প্রচণ্ড রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এই বিপ্লবের পেছনে দেশের ছাত্র–জনতার ম্যান্ডেট রয়েছে। দেশের লন্ডভন্ড অবস্থা থেকে দেশ ক্রমেই স্থিতিশীল হচ্ছে। যে দেশে দশটি ব্যাংক দেউলিয়ার পর্যায়ে থাকে সে দেশের অর্থনীতি কতটা ভঙ্গুর ছিল তা সহজেই অনুমেয়। যখন সরকার ক্ষমতা নেয় তখন অর্থনীতির কী বেহাল দশা ছিল, সবাই জানে। এ
কই সঙ্গে সরকারকে শত শত কোটি টাকা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়েছে, আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্যকে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনতে হয়েছে, আমদানি-রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজতে হয়েছে, পতিত সরকারের মদদে পরিচালিত প্রতিবিপ্লব থেকে দেশকে রক্ষা করতে হয়েছে, শত শত রাজনৈতিক আন্দোলনকে শান্ত করতে হয়েছে, পতিত সরকার ও প্রতিবেশী দেশের মিডিয়ার আন্তর্জাতিক প্রোপাগান্ডা সামাল দিতে হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে, যারা অসংখ্য বাধার মধ্যেও রিপোর্ট তৈরি করেছে, যা কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূসের ওপর আস্থা থাকায় জাতিসংঘ এত কম সময়ে একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন তৈরি করে বিশ্বদরবারে তা প্রকাশ করতে পেরেছে। অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকলে এর কতটুকু সম্ভব হতো?
কোনো দল সত্যিকার অর্থে যদি দেশের উন্নতি চায়, তবে তারা যদি দেখে একটি যোগ্য সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাকে সহযোগিতা করবে, সেটিই স্বাভাবিক। নিজ দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগার কথা নয়। কিন্তু বিএনপি তাই করছে। নির্বাচন দেওয়ার জন্য প্রতিমুহূর্তে ইউনূস সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশের মানুষ চায়, অধ্যাপক ইউনূস যেমন দিল্লির প্রোপাগান্ডা ও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের কাছে নতি স্বীকার করেননি, তেমনি কারো চাপে তাড়াহুড়া করে নির্বাচনের দিকেও হাঁটবেন না। প্রয়োজনীয় সময় নেবেন। বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করবেন। দেশের অর্থনীতিতে একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করে দেবেন।
Posted ৩:১২ পিএম | রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।