নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ | প্রিন্ট | 119 বার পঠিত
সমুদ্রগামী একটি ট্রলারকে সাগরে ১০ দিনের জন্য ১৬ জন জেলের যাত্রা করতে জ্বালানি, বরফ, বাজার-সদাইসহ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হয়। আবার কখনো আরও বেশি। জেলে হারুনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, মাছ ধরা পড়ে যা লাভ হয়, তার অর্ধেক নেন ট্রলারমালিক। এরপর যা থাকে তা ২০ ভাগ করা হয়। এই ২০ ভাগের মধ্যে ১৬ জন জেলের এক ভাগ করে ১৬ ভাগ, মাঝির ২ ভাগ এবং বাবুর্চি ও ইঞ্জিনচালকের ১ ভাগ। আবার জেলেরা যদি পর্যাপ্ত ইলিশ না পান, তাহলে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হয় ট্রলারমালিকের। ফলে কোনো ট্রলারমালিক যদি অনেক ইলিশ পেয়েও যান, তিনি আগের লোকসান পুষিয়ে নিতে চান। ট্রলারের মাঝি রফিক মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, সাগরে আগের মতো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ১০ বার জাল ফেললেও মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। আর বৈরী আবহাওয়া তো আছেই।
দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এটি কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে সমালোচনা। অবশ্য একটি ব্যবসায়ী সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না। তারা বেশি দামেই এ মাছ ভারতে পাঠাচ্ছেন, খাতা-কলমে দেখানো হচ্ছে ১০ ডলার বা ১২০০ টাকা। আর সরকারি মূল্যের অতিরিক্ত টাকার লেনদেন চলছে হুন্ডিতে।
তাই সবার আগে দরকার দাম কমানোর জন্য চোরাচালান রোধ করা। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া। চাঁদাবাজি বন্ধ করা। তা ছাড়া, জেলেদের যাবতীয় খরচ যেমন ডিজেলের দাম, জালের দাম, সুতা এবং রশির দাম কমাতে হবে। ইলিশের এক-একটি ঘাট থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে পুরো দেশে এর বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রশাসন যদি সত্যিকার অর্থে ঘাট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং জেলের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারে, তবে ইলিশের দাম নাগালের মধ্যে আসবে। ইলিশ নিয়ে নিত্য গবেষণা চলছে। কিন্তু কী করলে ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার নাগালে আনা যাবে, সেই গবেষণাটা বেশি দরকার। অবশ্যই বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
Posted ২:৫৩ পিএম | বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।