শনিবার ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

ঢাবির পুনর্গঠিত প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   112 বার পঠিত

ঢাবির পুনর্গঠিত প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা

গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লব-পরবর্তী সরকার গঠনের পর যেসব প্রশ্নে দেশের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের বিপুল আগ্রহ ও উদ্দীপনা লক্ষ করছি তার মধ্যে অন্যতম হলো—কে হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য? বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আলোচনায় যেসব নাম শোনা যাচ্ছিল উপাচার্য হিসেবে, তার মধ্যে বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যের নামও ছিল। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রথম দিকে আগ্রহ ছিল কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে ঢাবির ভবিষ্যৎ উপাচার্যের, সে বিষয়ে। একাডেমিক যোগ্যতার বিষয়টি সব মহলেই প্রাধান্য পেয়েছিল। এ ছাড়া দুটি বিষয় ছিল সবচেয়ে লক্ষণীয়। এই প্রথম সাধারণ মানুষের মতামত দেওয়ার প্রবণতা ছিল ঢাবির উপাচার্য নিয়োগের বিষয় কেন্দ্র করে। দ্বিতীয়ত, প্রথমবারের মতো দেখা গেল কাউকে কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করার প্রবণতা। এ দুটি ডাইমেনশন ছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পুনর্গঠনে আলোচনা ছিল আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দুটি ব্লককে কেন্দ্র করে। কারণ, সাদা দল ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অল্পসংখ্যক শিক্ষকের বাইরে সাধারণ শিক্ষকদের সরাসরি ও সরব উপস্থিতি এ আন্দোলনে খুব কমই দেখা গেছে। তাই সামাজিকমাধ্যমসহ বিভিন্ন আলোচনার টেবিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পুনর্গঠনের বিষয় কেন্দ্র করে সাদা দল ও নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নামও শোনা যাচ্ছিল।

বাংলাদেশে যে পরিবর্তন এসেছে তার অন্যতম প্রমাণ হলো, ঢাবির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী-জনতার মধ্যে মতামত দেওয়ার এই যে প্রবণতা। ঢাবির ভিসি পদের নিয়োগ নিয়ে এতটা আগ্রহ ও নির্ভয়ে মতামত প্রদানের প্রবণতা শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনতার মধ্যে আগে কখনো দেখা যায়নি। আমার কাছে এটাই পরিবর্তন। এটাই স্বাধীনতা। এটাই ছিল আমরা যারা জীবন ও জীবিকার ঝুঁকি নিয়ে সরাসরি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। কোনো ভয় না পেয়ে মন খুলে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারার সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণ। ২০২৪-এর বিপ্লব আমাদের এ সুযোগ ও পরিবেশ দিয়েছে। এটা অব্যাহত রাখতে হবে।

এরই মধ্যে সরকার ঢাবির উপাচার্য নিয়োগ প্রদান করেছে। এখন সর্বত্র আলোচনা চলছে এ নিয়োগ কতটা যথার্থ হয়েছে। শিক্ষিতমহল এবং সাধারণ জনগণ এ নিয়োগকে নানা প্যারামিটারে পরিমাপ ও বিশ্লেষণ করতে চাইবেন। এটাই স্বাভাবিক। সব পক্ষ, গোষ্ঠী এ নিয়োগে সন্তুষ্ট থাকবে এটাও অস্বাভাবিক। নবনিযুক্ত উপাচার্যের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও সাইটেশন দেখে অনেকে যুক্তি দিয়েছেন, এ নিয়োগ যথার্থই হয়েছে। যে কোনো সরকারি নিয়োগে আসলে সরকারের ইচ্ছাই চূড়ান্ত কথা। আর এ বিপ্লব-পরবর্তী সরকার তো আরও বেশি সংবেদনশীল হবে ঢাবির মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়োগের বিষয়ে। কারণ, বাংলাদেশে সব সরকার পতনের সূচনা এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২৪-এর বিপ্লবের সূচনাও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, তাদের কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, বিপ্লবীদের স্বপ্নপূরণ—এসব কিছুই নির্ভর করছে ঢাবির প্রশাসনের ওপর। এ প্রশাসন সফল হলে এই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হবে, দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তব হতে পারে এবং একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ হতে পারে। তাই ঢাবির প্রশাসন সাজানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ সরকারের। যদিও এ কাজটা শুরু করতে সরকার অনেক সময় নিয়েছে। সময় সমস্যা নয়, যদি যথার্থভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পুনর্গঠন করা যায়।

এই মুহূর্তে উপাচার্যসহ নিয়োগপ্রাপ্তদের চুলচেরা বিশ্লেষণের সুযোগ সীমিত। সরকারের ইচ্ছায় যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন নির্ধারিত হয় এবং অতীতে কোনো সরকারের ক্ষেত্রেও যেহেতু অংশীজনের মতামত নিয়ে কোনো উপাচার্য নিয়োগের রীতি নেই, সেহেতু আমি এ প্রশাসনের কার্যক্রমের ভিত্তিতেই এ প্রশাসনের সাফল্যকে মূল্যায়ন করব। এর জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এখনই বা এক-দুই মাসের মধ্যে তাদের যোগ্যতা ও কার্যক্রম মূল্যায়ন করলে হবে না। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যই আসলে একটা প্রশাসনিক পদ। প্রশাসক হিসেবে একজন উপাচার্যের সাফল্য একাডেমিক যোগ্যতার চেয়েও নির্ভর করে তার নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব, সততা, পরিচিতজনের ওপর কম নির্ভরশীলতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির বিষয়ে তার বিশ্বাসের ওপর। তা ছাড়া সরকারের চাপ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাফল্যের নির্ধারক। শিক্ষার্থী-জনতার কাছে উপাচার্যের প্রথম যোগ্যতা ছিল একাডেমিক গবেষণায় তার অবস্থান। সারা বিশ্বেই উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে এটা প্রধান মানদণ্ড। তবে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার মানদণ্ডও অনেক নিয়োগকর্তা প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এ দুই মানদণ্ডেই নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান উপাচার্য অনেকের চেয়ে কম নন, ঢের বেশি। তবে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এই পরিবেশে ঢাবির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়া অনেক চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজন বিচক্ষণ ও শক্তিশালী নেতৃত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করার জন্য এই মুহূর্তে প্রশাসনকে তাদের এ যোগ্যতাকেই প্রাধান্য দিতে হবে, তাহলে সাফল্য আসবে।

সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই অনেক ধরনের লম্বা প্রত্যাশার তালিকা উপস্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্যের কাছে। এ তালিকা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাস্তবতাবিবর্জিত। আমরা অবশ্যই মনে রাখব যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশে অবস্থিত। বাংলাদেশ আমেরিকা, কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা পশ্চিম ইউরোপের কোনো দেশ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদিও তার প্রতিষ্ঠার শত বছর অতিক্রম করেছে, তথাপিও মনে রাখতে হবে পাকিস্তানি এবং স্বাধীনতার পর গড়ে ওঠা বাংলাদেশের রাজনীতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সমাজের মনন তৈরি করেছে। রাতারাতি কোনো উপাচার্য এই মননের পরিবর্তন করতে পারবেন না। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার জন্য যে আর্থিক বাজেট, নিরাপদ আবাসন, পরিবেশ এবং সবার সহযোগিতার মানসিকতা প্রয়োজন, তা এখনই পাওয়া যাবে না। যে বিশ্ববিদ্যালয় আমরা গত ৫০ বছরে তৈরি করেছি, খুব দ্রুত সে পরিবেশ ও পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে এটা বিশ্বাস করা অবাস্তব। তবে পরিবর্তনের জন্য কাজ শুরু করা প্রয়োজন।

এ ক্ষেত্রে উপাচার্যের নেতৃত্বে পুনর্গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি তিন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে। স্বল্পমেয়াদে সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। এর জন্য প্রথমেই হলগুলোতে নিরাপদ আবাসন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে যত দ্রুত সম্ভব বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো জরুরি। এজন্য পরিশ্রমী, বিচক্ষণ, শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষকদের হলগুলোর প্রশাসন পরিচালনায় দায়িত্ব দিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব হলগুলোতে নিরাপদ ও পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র নিরাপদ পড়াশোনার পরিবেশ তৈরির জন্য শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষকদের প্রক্টরিয়াল টিমে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। বিভাগের চেয়ারম্যান ও ডিনদের সঙ্গে সভা করে পাঠদানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলা দরকার এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা প্রয়োজন। যেসব পরীক্ষা স্থগিত আছে সেগুলো দ্রুত শুরু করা, সেশনজট কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া এখন জরুরি। পাঠদান ও পরীক্ষা গ্রহণের পরিবেশ তৈরি করলেই হবে না, এটা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা দ্রুত নিতে হবে। প্রক্টরিয়াল টিম, প্রভোস্ট ও বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ডিনদের আন্তরিক সহযোগিতা ও কঠোর পরিশ্রমই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান এবং পরীক্ষা গ্রহণের একটা টেকসই পরিবেশ তৈরি করবে।

পাঠদান ও পরীক্ষার টেকসই পরিবেশ তৈরি হলে মধ্যমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। এ ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের কার্যকর ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ, পরীক্ষা পদ্ধতির কার্যকর বিন্যাস, পাঠাগারকে আধুনিকায়নের নীতিমালা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন, সব প্রশাসনকে নৈর্ব্যক্তিক করা দরকার। এ সময়ে শিক্ষকদের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সংখ্যক পাঠদান ও নৈতিক মানদণ্ড বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক মূল্যায়নের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো প্রধানত একটি টিচিং বিশ্ববিদ্যালয়। আপাতত যে রিসোর্স আছে, তাই নিয়ে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তার কার্যকর বাস্তবায়ন জরুরি। স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে অতিউৎসাহী পরিকল্পনা আরও বিপর্যয় তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।

স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় ৭০ শতাংশ সফল হলেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। এ পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে টিচিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণামুখী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিতে হবে। বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ঔপনিবেশিক মানসিকতা পরিহার করা, মেধাকে মূল্যায়ন করে শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগ এবং তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সেবাদানের মানসিকতা তৈরি করার পরিকল্পনা নিতে হবে। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের শিক্ষকদের মতো হতে হবে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বৃদ্ধি করার আন্তরিক প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। ধর্ম, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, রাজনৈতিক বিশ্বাস ও জেন্ডার ইস্যুতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী ও প্রশাসন জরুরি। গবেষণায় উন্নতি করতে হলে সরকারের কাছে থেকে প্রয়োজনীয় ফান্ড, গবেষক যথার্থভাবে সেই ফান্ড ব্যয় করছেন কি না, সেটা মনিটর করে প্রয়োজনীয় ও অগ্রাধিকার খাতে গবেষণা করে সেই গবেষণার ফল যাতে রাষ্ট্র ও নাগরিক সেবায় ব্যবহৃত হয়, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারেরও সহযোগিতা লাগবে। এক মেয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য আশা করলে হবে না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং নির্বাচনী গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাবাহিকতা যদি রাজনৈতিক দলগুলোতে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় দ্রুত নিশ্চিত হয়, তখনই শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারবে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রূপান্তরিত করা গেলেই কম কি? এ প্রশাসন বাস্তব পরিকল্পনাকে প্রাধান্য দেবে এই প্রত্যাশা করি। এ প্রশাসনের সাফল্যের সঙ্গেও গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবের সাফল্য এবং নির্বাচনী গণতন্ত্রে প্রবেশ অনেকাংশে সংশ্লিষ্ট রয়েছে। উপাচার্যসহ পুনর্গঠিত প্রশাসনে নিয়োগপ্রাপ্ত সবাইকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই এবং এ প্রশাসনের সাফল্যের জন্য শুভ কামনা রইল।

 

Facebook Comments Box

Posted ৬:৩৯ এএম | শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।