| শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 26 বার পঠিত
ইস্তিগফার মানে হল আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং অসীম দয়ালু। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু [সূরা নিসা : আয়াত ১০৬]। আর আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ইস্তিগফার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এটি একটি উত্তম আমল।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বলেন— ‘আল্লাহর কসম, আমি দিনের মধ্যে ৭০ বারেরও অধিক ইস্তিগফার এবং তওবা করে থাকি। [সহিহ বুখারি : ৬৩০৭]।
ইস্তিগফার সম্বন্ধে পবিত্র কোরআনে আছে— ‘অথচ আল্লাহ কখনই তাদের ওপর আজাব নাজিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তা ছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনো তাদের ওপর আজাব দেবেন না।’ [সুরা আনফাল, আয়াত: ৩৩]
ইস্তিগফার কীভাবে করতে হয়?
ইস্তিগফার অনেকভাবে করা যায়। সবচেয়ে ছোট ইস্তিগফার أَستَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’
অনুবাদ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
প্রতি ওয়াক্তের ফরজ সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। [মিশকাত-৯৬১]
আবার,
أسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذي لا إلهَ إِلاَّ هُوَ الحَيَّ القَيُّومَ وأتُوبُ إلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি’।
অনুবাদ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবাহ্ করি [আবু দাউদ-১৫১৭] পড়েও ইস্তিগফার করা যায়। তবে সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার। এবং এটি সকাল সন্ধ্যার জিকির।
সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার :
اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।
অনুবাদ: হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।
যে ব্যক্তি সকালে দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ ইস্তিগফার পড়বে আর সন্ধ্যা হওয়ার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতি হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে পড়ে সকালের আগে মারা যাবে, সে জান্নাতি হবে। [বুখারী-৬৩০৬]
ইস্তিগফার কেন প্রয়োজন?
কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়া’লা বলেন, ‘আর আমি তাদের বলেছি, তোমাদের রবের কাছে ইস্তিগফার করো; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। (তোমরা ইস্তিগফার করলে) তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। আর তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ এবং সন্তানসন্ততি দিয়ে। তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত নদীমালা [সুরা নুহ, আয়াত : ১০-১২]
Posted ৫:৫৩ এএম | শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।