| সোমবার, ০১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 36 বার পঠিত
বিশ্ববাজারে আবারও ৮০ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে এসেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার (১ মে) বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ৬১ সেন্ট ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৬৩ সেন্ট কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সম্ভাব্য সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনের দুর্বল উৎপাদন সূচকের চিত্র প্রকাশ্যে আসায় তেলের বাজার নিম্নমুখী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, সোমবার গ্রিনিচ মিন টাইম ৩টা ১৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ১৩ মিনিট) ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই উভয়ের ০.৮ শতাংশ দরপতন হয়েছে। এদিন ব্রেন্ট বিক্রি হচ্ছে ব্যারেলপ্রতি ৭৯ দশমিক ৭২ ডলারে এবং ডব্লিউটিআই’র দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল ৭৬ দশমিক ১৫ ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রে গত মার্চ মাসে ভোক্তা ব্যয় অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে মূল্যস্ফীতির চাপে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ আবারও সুদের হার বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ডব্লিউটিআই ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল ৭৯ ডলার ১২ সেন্ট। আর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ৮৬ ডলার ৩৯ সেন্ট।
মূলত বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কায় জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের বিভিন্ন শহরে এখনো লকডাউন চলছে। কোথাও কোথাও লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু সরকার অনড়। সে কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থিমিত হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা বলছে, চীনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবার বেশ খানিকটা কমবে। অন্যদিকে আমেরিকান মুদ্রা ডলার দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। ক্রমবর্ধমান সুদের হার বড় অর্থনীতিকে মন্দার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ আশঙ্কায় তেলের দাম কমছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় বড় দেশ ঋণের সুদের হার বাড়িয়েই চলেছে। অন্য বড় অর্থনীতির দেশগুলোও সেই একই পথ অনুসরণ করছে। আর এটিই বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
Posted ৭:২৩ এএম | সোমবার, ০১ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।