| মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 26 বার পঠিত
চলতি বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বহন করে সৌদি আরব নিয়ে যাবে তিনটি এয়ারলাইন্স। ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে ফ্লাইট শিডিউল জমা দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। সেগুলো হলো- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স সংস্থা ফ্লাই নাস।
যাত্রীদের সৌদি পৌঁছাতে মোট ৩৩৫টি ফ্লাইটের শিডিউল ঘোষণা করেছে এয়ারলাইন্সগুলো। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের হজ চুক্তি অনুযায়ী, হজযাত্রীদের অর্ধেক বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক সৌদি আরবের এয়ারলাইন্সগুলো বহন করবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চলতি বছরে নিবন্ধন করা মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করবে তাদের ফ্লাইটগুলো। মোট ১৬৮টি ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের সৌদি পৌঁছানো হবে। আগামী ২১ মে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হবে বিমানের প্রথম ফ্লাইট। বিমানের সর্বশেষ ফ্লাইটটি সৌদি যাবে ২২ জুন। ঢাকা-জেদ্দা, ঢাকা-মদিনা ছাড়াও বিমান চট্টগ্রাম-জেদ্দা, চট্টগ্রাম-মদিনা, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ২ জুলাই থেকে শুরু হবে বিমানের ফিরতি ফ্লাইট।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মোট ১৬৭টি ফ্লাইটের মাধ্যমে অর্ধেক হজযাত্রী পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া) ও ফ্লাই নাস। এর মধ্যে সাউদিয়া ১১৫টি ও ৫২টি ফ্লাইটে হজযাত্রী নেবে ফ্লাই নাস।
আগামী ২৫ মে ঢাকা থেকে জেদ্দার উদ্দেশে উড়াল দেবে সাউদিয়ার প্রথম ফ্লাইট। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই। এদিকে ফ্লাই নাসের প্রথম ফ্লাইট উড়াল দেবে ২১ মে এবং ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই। তিনটি এয়ারলাইন্সই জানিয়েছে, কারিগরি ত্রুটি বা অনাকাক্সিক্ষত কারণে যে কোনো সময় ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন বা বাতিল হতে পারে।
হজ ফ্লাইটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, বোয়িং-৭৭৭ ও ড্রিমলাইনারের মতো অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। হজযাত্রার ধাক্কা সামলাতে ইঞ্জিনিয়ার, কেবিন ক্রু ও বিদেশি পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৭ হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। অর্থাৎ নিবন্ধন বাকি আছে ৭ হাজার ৫০২ জনের। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি।
Posted ১:৩২ এএম | মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।