| সোমবার, ২২ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 25 বার পঠিত
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। প্রতিটি মুমিনের আকাঙ্ক্ষা থাকে জীবনে একবার হলেও পবিত্র হজ পালন করা। শারিরীক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য একবার হলেও হজ সম্পাদন করা আবশ্যক। হজের সময় কোনো কোনো জিনিস সংগ্রহ করা উচিত, তা অনেকেরই জানা থাকে না। তবে হজযাত্রার পূর্বেই কিছু জিনিস সংগ্রহে রাখতে হবে। নিচে হজযাত্রার আগে সংগ্রহ করার মতো প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোর একটা তালিকা দেয়া হলো –
দোয়ার বই (হিসনুল মুসলিম) : সব সময় কাছে রাখবেন, সুন্নাহভিত্তিক দোয়াগুলো পড়বেন। এ বই থেকে কখন, কোথায় কোন দোয়া পড়বেন তা-ও জানা যাবে।
ইহরামের কাপড় : পুরুষের ইহরামের কাপড়; কমপক্ষে দুই সেট (গায়ের জন্য আড়াই হাত বহরের তিন গজ ও শরীরের নিচে পরার জন্য একই বহরের আড়াই গজ)। ইহরামের কাপড় সাদা ও সুতি হলে আরামদায়ক। নারীদের ইহরামের কাপড় তাদের স্বাভাবিক পোশাক-পরিধেয়ই। তবে মুখের পর্দা রক্ষার জন্য মহিলা হাজিদের জন্য কিছু বিশেষ সানক্যাপ পাওয়া যায়, যেগুলোতে যুক্ত বিশেষ পর্দাটি নারী হাজিদের মুখের পর্দা যথাযথভাবে রক্ষা করে, আবার ইহরামেরও কোনো সমস্যা হয় না। ইহরাম বাঁধার টাওয়াল সেট ও বেল্ট।
হজ গাইড: দেশ থেকেই ভালো ও সহজবোধ্য হজ গাইড বই সংগ্রহ করা। হজের আগেই হজ গাইড ভালোভাবে কমপক্ষে ২ বার পড়ে নেওয়া।
বহনযোগ্য জায়নামাজ: যেকোনো জায়গায় নামাজ পড়ার জন্য বা প্রয়োজনে বিছিয়ে বসা বা শোয়ার জন্য নিতে পারেন।
দুই ফিতার জুতা : ইহরাম অবস্থায় পুরুষদের পরার জন্য দুই ফিতার স্যান্ডেল বা জুতা দুই জোড়া। হালাল অবস্থায় পুরুষদের পরার জন্য শু বা চামড়ার জুতা এক জোড়া। মা-বোনদের জুতায় কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তারা দুই-তিন জোড়া আরামদায়ক জুতা সঙ্গে নিতে পারেন। মসজিদে জুতা বহনের জন্য কাপড়ের ছোট দুটি ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারেন।
শুকনা খাবার : সুবিধার জন্য অল্প চিড়া ও গুড়, দুই-তিন প্যাকেট বিস্কুটও সঙ্গে রাখা যেতে পারে। যাত্রাপথে বিশেষ করে আরাফাত ও মিনায় খাবার পৌঁছতে বিলম্ব হলে এগুলো কাজে আসবে। কারণ গত হজে এসব জায়গায় দোকানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তাওয়াফ তাসবিহ : তাওয়াফের সময় নির্ভুল হিসাব রাখার জন্য একটি তাওয়াফ তাসবিহ সংগ্রহে রাখা যেতে পারেন।
বৈদেশিক মুদ্রা : কোরবানির খরচ ও হজের ব্যক্তিগত খরচের জন্য প্রয়োজন মতো সৌদি রিয়াল আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখা ভালো, কারণ বিগত বছরগুলোতে যারা হজ করেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা হলো—শেষ সময়ে রিয়ালের দাম বেড়ে যায়।
ইহরামের জন্য তাওয়েল: ইহরামের জন্য ২ সেট (৪ পিস) টাওয়েল নিতে হবে। গরমে আদ্রতা ধরে রাখার জন্য কাপড় থেকে টাওয়েল উত্তম। ইহরামে তাওয়েল পরলে গরমে ঘেমে শরীর ভিজে গেলে তা শুষে নেবে এবং শরীর দেখা যাবে না। পক্ষান্তরে কাপড় ভিজে গেলে শরীর দেখা যাবে।
হাওয়ার বালিশ : এ ছাড়া প্রয়োজনীয় তোয়ালে বা গামছা, একটি চাদর, একটি কাঁথা, একটি ছোট বাতাসের বালিশ নেওয়া যেতে পারে। এগুলো মুজদালিফায় কাজে আসতে পারে।
পানির বোতল: সব সময় পানি বহন করার জন্য একটি বোতল রাখা। ৮০০ মিলি বোতল হলেই ভালো। কোনভাবেই ১ লিটারের বেশি বড় বোতল না নেওয়া।
পাথরের ব্যাগ: মিনার জামরাতে পাথর নিক্ষেপের জন্য মুজদালিফা থেকেই পাথর কুড়িয়ে রাখার জন্য একটি ছোট ব্যাগ নেওয়া।
ছাতা: প্রচণ্ড গরমে একটু প্রশান্তি পেতে ছাতার বিকল্প নেই। তাই ছোট (ক্যাপসুল) ছাতা সঙ্গে রাখা জরুরি।
মিসওয়াক: মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় থাকাকালীন সময়ে টুথব্রাশ / পেস্ট এর থেকে মিসওয়াক বেশি সুবিধাজনক। আর এর বাইরেও ঔষুধ সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস নিতে ভুলবেন না।
উল্লিখিত উপকরণগুলো বাইতুল মোকাররম ও হাজি ক্যাম্প এলাকায় সহজে পাওয়া যেতে পারে। তা ছাড়া এখন বিভিন্ন অনলাইন শপে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো একসঙ্গে পাওয়া যায়। শুধু গুগলে বা ফেসবুকে ‘ইহরাম প্যাকেজ’, ‘হজ প্যাকেজ’ বা ‘হজের উপকরণ’ ইত্যাদি লিখে সার্চ দিলে সহজেই পাওয়া যেতে পারে। প্রডাক্ট লিস্ট, স্থায়ী অফিস ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহের পর তাদের সঙ্গে কথা বলে বিশ্বস্ত মনে হলে তাদের থেকেও সংগ্রহ করা যেতে পারে।
Posted ৪:০২ এএম | সোমবার, ২২ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।