| শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 129 বার পঠিত
পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ছিল অবৈধ। ভবনটি পাঁচ তলার অনুমতি নিয়ে সাত তলা করা হয়। এমনকি বেজমেন্টের কোনো অনুমতি ছিল না। এ ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি ছিল শুধু নিচতলার তিনটি দোকানের। কিন্তু ভবন মালিক রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই বাণিজ্যিক ব্যবহারের পাশাপাশি সাত তলা পর্যন্ত বানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের মামলার তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। মামলাটির ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এদিকে সিদ্দিকবাজারের ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বংশাল থানায় মামলা করেছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ভবন মালিক দুই ভাই ও বেজমেন্টের দোকান মালিক তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা অনুমোদন ছাড়া ভবনের ব্যবহার ও বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ভবনটির ১৯৫৯ সালের একটি নকশা পাওয়া গেছে। সেখানে রিজিয়া রহমান নামের এক নারী দোতলা ভবনের অনুমতি নিয়েছিলেন। পরে রিজিয়ার ছেলে রেজাউর রহমান আরেকটি নকশা করান ১৯৮৩ সালে। সেখানে পাঁচ তলার অনুমতি রয়েছে। সাত তলা ভবনের জন্য তৃতীয় আরেকটি নকশা বানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা রাজউকে জমা না দিয়েই ভবনের পাঁচ তলার ওপর দুটি তলা নির্মাণ করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির কর্মকর্তারা বলেন, নকশা অনুযায়ী ভবনের বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের কথা ছিল। কিন্তু সেখানে কখনো খাবারের দোকান আবার কখনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেয়া হয়। সেখানে গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। রাজউকের অনুমোদিত নকশায় ভবনের নিচতলার সামনের তিনটি দোকানের বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। এর বাইরে বাকি চারটি তলার পুরোটাই আবাসিক হিসেবে অনুমতি নেয়া হয়। কিন্তু ভবনের বিভিন্ন তলায় আবাসিকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেয়া হয়েছিল।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি ছায়া তদন্ত করছি। ঘটনায় কাদের অবহেলা রয়েছে, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে রাজউকের অথরাইজড কর্মকর্তা (অঞ্চল ৫/এ) রঙ্গন মণ্ডল জানান, ভবনের নকশার একটি অনুলিপিতে বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। বিষয়টি আরও বিস্তারিত খোঁজ নেয়া হবে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের একটি সাত তলা ভবনের বেজমেন্ট থেকে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ২৩ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ভবনটির মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের একটি দোকানের মালিক আবদুল মোতালিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Posted ২:২২ এএম | শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।