| মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট | 40 বার পঠিত
রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। মাসব্যাপী রোজাদার ব্যক্তির জন্য ৬টি কাজ নিয়মিত পালন করা জরুরি। কাজগুলোতে রয়েছে সাওয়াব ও শারীরিক অনেক উপকারিতা। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কাজগুলোর প্রতি তাগিদ দিয়েছেন।
মুমিন মুসলমানের জন্য রমজান মাসে যে ৬টি কাজ করা অতিব জরুরি তা হলো-
তারাবিহ নামাজ আদায়:
রমজানের চাঁদ দেখা গেলে ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই তারাবিহ বা রমজানের রাতের নামাজ আদায় করা। এ নামাজ মসজিদে কিংবা ঘরে একা একাও আদায় করা যায়। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান সম্পর্কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের আশায় ক্বিয়ামে রমজান অর্থাৎ আরাবির নামাজ আদায় করবে তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (বুখারি)
শেষ রাতে সাহরি খাওয়া:
কম হলেও রোজার জন্য শেষ রাতে সাহরি খাওয়া। অন্তত একটি খেজুর দিয়ে হলেও সাহরি খাওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে
’তোমরা সাহরি খাবে, কেননা এতে অনেক বরকত রয়েছে।’ (বুখারি)
খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা:
ইফতারের সময় হলে খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা। খেজুর না পেলে সাদা পানি পান করে ইফতার শুরু করা। হাদিসে এসেছে-
’রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খেজুর খেয়ে (মাগরিবের) নামাজের আগে রোজা ভঙ্গ করতেন।’ (আবু দাউদ)
সময় হওয়ার পর ইফতারে দেরি না করা:
ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা। সময় হওয়ার পর অযথা রোজা ভাঙতে দেরি না করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
’মানুষ ততদিন কল্যাণের পথে থাকবে, যতদিন তারা (সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে) তাড়াতাড়ি ইফতার শুরু করবে।’ (মুসলিম)
মিথ্যা কথা ও মন্দ কাজ পরিহার করা:
রোজা রেখে মিথ্যা কথা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা ঈমানের অন্যতম দাবি। হাদিসে পাকে প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
’যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে না, তার পানাহার ত্যাগ করায় (রোজ রাখায় আল্লাহর) কোনো প্রয়োজন নেই। (বুখারি)
মন্দ কথার উত্তম জবাব দেয়া:
রোজাদারের সঙ্গে কোনো ব্যক্তি মন্দ কথার জবাবে ভঅলো কথায় উত্তর দেয়া। রাসুলুল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
’কেউ যদি মন্দ কথা বলে, রাগানোর চেষ্টা করে, তখন তাকে এ কথা বলা যে, আমি রোজাদার।’ (নাসাঈ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত রমজানব্যাপী এ কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করে রমজানের অবিরত রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাত লাভে ধন্য হওয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ ও উল্লেখিত মাসনুন আমলগুলো যথাযথ আাদয় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Posted ৩:৫৩ এএম | মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।