| বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 27 বার পঠিত
সাধারণত শিশুর দেহে তার পিতামাতার ডিএনএ থাকে। তবে বিজ্ঞানের বদৌলতে এর ব্যতিক্রমও ঘটে। এবার যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো তিনজনের ডিএনএ বহন করা এক শিশুর জন্ম হয়েছে।
দেশটির প্রজনন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বেশির ভাগ ডিএনএ এসেছে তার দুই পিতামাতার কাছ থেকে, আর তৃতীয় আরেকজনের কাছ থেকে এসেছে ০.০১ শতাংশ ডিএনএ। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
পিতামাতার ডিএনএর পাশাপাশি দাতার কাছ থেকেও যে ডিএনএ শিশুটি পেয়েছে প্রজন্মের থেকে প্রজন্মে তার প্রভাব রয়ে যাবে। দাতার ডিম্বাণু থেকে সংগৃহীত এই ডিএনএ শরীরের কোষে শুধু কার্যকর মাইটোকন্ড্রিয়া তৈরির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক।
এর আগে যুক্তরাজ্যে ২০১৫ সালেই এ জাতীয় শিশু জন্মের পক্ষে আইন পাস হয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে এক জর্ডানীয় পরিবারে এ প্রযুক্তিতে নতুন অতিথির আগমন ঘটে।
বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৩ জনের ডিএনএ নিয়ে ৫ শিশুও জন্মায়নি। যদিও সংখ্যাটি স্পষ্ট করে বলা হয়নি, যাতে এ শিশুদের কোনো উপায়ে চিহ্নিত করা না যায়।
মাইট্রোকন্ড্রিয়াল রোগ সংক্রান্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে যাতে শিশুরা জন্মাতে পারে, তার জন্য এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
জন্মের পর এই দুরারোগ্য রোগ কয়েকদিন বা কয়েক ঘণ্টা পর মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। যেসব পরিবার মাইট্রোকন্ড্রিয়াল সংক্রান্ত রোগে একাধিক সন্তান হারিয়েছে, তাদের জন্য এই পদ্ধতি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
মাইট্রোকন্ড্রিয়া হলো শরীরের কোষের অভ্যন্তরে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ। যা খাদ্যকে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর করে। এটিকে কোষের শক্তিকেন্দ্রও বলা হয়।
ত্রুটিপূর্ণ মাইট্রোকন্ড্রিয়া শরীরের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি জোগানে ব্যর্থ হয়। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি, পেশির বিনাশ, হার্ট ফেইলর ও অন্ধত্বের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Posted ৩:৫০ এএম | বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।