শুক্রবার ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   122 বার পঠিত

নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে হাসিনার যে একদলীয় ও এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক লুটেরা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই লুটেরা স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে। এই অভ্যুত্থান সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্র ও সমাজে জেঁকে বসা দুর্নীতি, লুটপাট, দখলদারিত্ব, অর্থ পাচার, বিচারহীনতা ও ঋণখেলাপি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। পাশাপাশি উত্থাপিত হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক চর্চা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান এক দিনে হয়নি। এ জন্য বছরের পর বছর, মাসের পর মাস ‌অপেক্ষা করতে হয়েছে। মানুষের ওপর জুলুম করেছে বিগত সরকার। দেশের মানুষ দিনের পর দিন নির্যাতিত হয়েছে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান– এসব প্রশ্ন ওঠেনি। এই আন্দোলনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভূতপূর্ব ঐক্যবোধ ও সংহতি তৈরি হয়েছিল। বিশ্বাসের পার্থক্য, রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য, ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা, শ্রেণিগত পার্থক্য– সবকিছু ছাপিয়ে তারা একই উদ্দেশ্যে মিলিত হয়েছিল। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ যে অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছেন, তা কোনোভাবে ভুলে যাওয়ার নয়।

গত ১৬ বছরে মানুষের মনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তারই চূড়ান্ত পরিণতি এ গণঅভ্যুত্থান। উন্নয়ন তত্ত্বকে সামনে নিয়ে বিগত সরকার মানবাধিকার, সুশাসন, জবাবদিহি, ন্যায়বিচার, সর্বোপরি গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীরা ব্যাপক আকারে লুটপাট করেছে, ব্যাংক খালি করেছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, বিনা কারণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হামলা-মামলায় ব্যস্ত রেখেছে এবং ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার মানসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা এমন কতগুলো কাজ করছি, যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার আশঙ্কা অনেক বেড়ে গেছে। এত দিন ধরে যে ত্যাগ, প্রিয় মানুষের চলে যাওয়া, সবকিছু ছাড়িয়ে ক্রমশ একটা ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হচ্ছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ অবস্থা তৈরি করছে পতিত ফ্যাসিবাদ। পুরো আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন, তা ন্যূনতম করে সে ধরনের একটা রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য নির্বাচনে যাওয়া। 

অনেকে বলছেন, নির্বাচনই গণতন্ত্র নয়। অবশ্যই তা নয়। কিন্তু তার জন্য একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য কেবল হাসিনা রেজিমের পতন ঘটানোই নয়, একই সঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে উজ্জীবিত করাও। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী চেতনার উন্মেষ ঘটেছে। আন্দোলনের সময় ও এরপর কয়েক লাখ গ্রাফিতি বা দেয়ালচিত্র এঁকেছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি দেয়ালচিত্রে ফুটে উঠেছে গণঅভ্যুত্থানের গল্প, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে এ বিজয় সংহত করতে হবে। বিজয় অর্জন যতটা সহজ, তাকে সংহত করে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া ততটাই কঠিন। ১৬ বছরে জনগণের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। জনগণ তার প্রত্যাশা থেকে সরে আসেনি। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে এলে জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের কার্যক্রম শুরু করেছে। একটি অনির্বাচিত সরকার ব্যাপকভাবে সংস্কার কতটুকু করতে পারে, সেদিকটিও তাদের ভাবতে হবে। সরকারের কিছু কাজে জনমনে বিভ্রান্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাদের কিছু পদক্ষেপ ঘোষণাও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি মানুষকে নাজেহাল করে তুলছে। জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নির্বাচন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার ছিল জনজীবনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিধান করা। এ জন্য সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে। কিন্তু বাজার পরিস্থিতি এখনও বেসামাল। জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ প্রশাসনকে এখনও পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি। উপদেষ্টাদের মধ্যে নানা কথা শুনে মনে হয়, তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও আছে। আন্দোলনের দাবিদার কোনো কোনো অংশ এমন আচরণ করছে যে তাতে মানুষের স্বস্তি আসছে না, বরং বিরক্তি বাড়ছে। 

আজ দেশের অবস্থা দেখে অনেকে আতঙ্কিত, উদ্বিগ্ন। এগুলো কী হচ্ছে? আমাদের বুঝতে হবে, আমাদের সেই শত্রুরা যারা সামনে থেকে চলে গেছে, এখন তারা পেছনে থেকে দেশকে আবার অস্থির করে তুলছে। আমাদের সজাগ থেকে ধৈর্য ধরতে হবে। ফ্যাসিবাদ পরাজিত হলেও যে কোনো সময় তা আবার ফিরে আসতে পারে। আমরা সেই রাস্তা যেন তৈরি করে না দিই। আমি মনে করি, এই সরকার ব্যর্থ হলে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে, বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবে, আমরা আবার সেই অন্ধকারে চলে যাব। তাই আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে বলে মনে করি। তবে শঙ্কার সঙ্গে লক্ষ্য করছি সংবাদপত্রের ওপর, স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর আঘাত শুরু হয়েছে। যার জন্য আমরা সব সময় সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে অবাধ লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি আর দুর্নীতির কারণে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দেশকে স্বাবলম্বী করে তুলেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আধিপত্যবাদী শক্তির থাবা মুক্ত করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশকে নিজ মর্যাদায় সমাসীন করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই সুসংহত হয়েছিল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নৈরাজ্যমুক্ত হয়েছিল দেশ। রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জনগণ ফিরে পেয়েছিল বাক্‌-ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার। সংবাদপত্র সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেছে বিএনপির সময়ে। এখন অনেকেই রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছেন। বলছেন সংবিধান সংস্কার করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন কীভাবে করবেন? একটা সংস্কার কমিটি দিয়েই সংবিধান সংস্কার হবে না। ওটা করতে গেলে সাংবিধানিক কিংবা সংসদের প্রতিনিধি লাগবে। সেটার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। একই সঙ্গে সবচেয়ে প্রধান যে জিনিসটা দরকার, সেটি হলো নির্বাচন। নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের জন্য ততই মঙ্গল। সমস্যা ততই কমে আসবে। নির্বাচিত সরকার হলে তার শক্তি হবে জনগণ। 
মনে রাখতে হবে একদিকে যেমন পরিবর্তনের জন্য জীবন দিয়েছে, তেমনি নির্বাচনের জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। হঠাৎ করেই কোনো কিছু পরিবর্তন করে ফেললে হবে না। সেটা কতটা টেকসই, সেই চিন্তাও করতে হবে। তার জন্য গণতান্ত্রিক পথে যেতে হবে। যারা এই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিল, তারা যদি বলত বিপ্লবী সরকার গঠন করেছি, তাহলে বিপ্লবী সরকার করত। আমাদের কিছু বলার ছিল না। এটা (অন্তর্বর্তী সরকার) বিপ্লবী সরকার নয়, সাংবিধানিক সরকার। আপিল বিভাগ থেকে এই সরকারের বৈধতা নেওয়া হয়েছে। ওটাকে ধরে রেখেই আমাদের এগোতে হবে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বাংলাদেশের চলমান সংবিধানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনাও অপরিহার্য। যাতে এ সংবিধানকে সহজে ব্যবহার ও সংশোধন করে ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীনরা আবার স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী নিপীড়ন-নির্যাতন শুরু করে দিতে না পারে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৩১ দফা ও ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ৬২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। 

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই। রাষ্ট্রের এমন কোনো বিভাগ নেই, যেখানে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা নেই। সরকার পরিচালনার বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অতীতের স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগী ও সুবিধাভোগী প্রশাসনকে নিয়েই সরকার চালানো। প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে উদার, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছেন। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্দেশ্যে ১০টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। সংস্কারের জন্য দেশপ্রেমিক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এই সুযোগ আর আসবে না। আমরা আশা করি, যে প্রত্যাশা নিয়ে সবাই আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে, সে প্রত্যাশা আমাদের পূরণ হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। এ আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে পারব। 

আমাদের সামনে বড় ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা ফ্যাসিস্টকে বিদায় দিয়েছি। আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদের সঠিকভাবে রূপান্তর ঘটাতে হবে। যে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, চেতনাকে ফিরিয়ে এনে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধ, কল্যাণকর দেশ গড়তে পারি। আমাদের সামনে এটাই লক্ষ্য। গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এই ভূখণ্ড পেয়েছি। গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম দিয়েছেন। সেই গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। 

অনেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে চিন্তা করতে চায়। এটা অন্যায়। শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা যে বিজয় পেয়েছি, তা ধরে রাখতে হবে এবং এরপর কোনো সরকার যাতে ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা চালু করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ যেন হারিয়ে না যায়। সে জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের দুর্বল দিকগুলো আমাদের ধরিয়ে দিতে হবে। 

ন্যায়বিচার আর ন্যায্যতাভিত্তিক সমাজের অধিকার ধনী-গরিব প্রত্যেক মানুষের রয়েছে। বিগত দিনের অন্যায় আর অন্যায্যতাকে ভুলে যাওয়া চলবে না। আগামীর বাংলাদেশ যেন হয় তারুণ্যনির্ভর, সম্প্রীতিপূর্ণ, ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ। আমরা সেই বাংলাদেশ গড়ব, যা আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন ছিল। 

Facebook Comments Box

Posted ৬:০০ এএম | বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(173 বার পঠিত)
ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।