রবিবার ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কাঠগড়ায়

  |   শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   27 বার পঠিত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কাঠগড়ায়

ফের বিভিন্ন মহলের সমালোচনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে। জাতিসংঘও গতকাল এ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি এটি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর খসড়া প্রণয়নের পর থেকেই এর নেতিবাচক দিক তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। আইনটির বেশ কিছু ধারা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল সাংবাদিক সমাজসহ দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকেরই। এর অপপ্রয়োগ নিয়ে শঙ্কিত ছিল আন্তর্জাতিক মহলও। এসব উদ্বেগ-আপত্তি-শঙ্কার মধ্যেই ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হয়। এর পরপরই এ নিয়ে নানা বিতর্ক, সমালোচনা ও আন্দোলনের মুখে আইনটি সংশোধনে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেই উদ্যোগ আর কূলে ভেড়েনি।
এদিকে জাতিসংঘ গতকাল এক বিবৃতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করে এটি বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংঘটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের ওই বিবৃতিতে এ আইনে করা মামলাগুলো পর্যালোচনায় স্বাধীন একটি বিচারিক প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানানো হয়।

সরকারি কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যু, গত বুধবার একই দিন দুজন সাংবাদিক
ও একজন সংম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের পর আবার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে এ আইনকে। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাগুলোর অধিকাংশই হয়েছে সরকার, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসহ সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমালোচনার জেরে। অধিকাংশ মামলার বাদী ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) গবেষণায় দেখা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর গত চার বছরে এ আইনে ১ হাজার ১০৯টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব মামলায় অভিযুক্ত ২ হাজার ৮৮৯ জনের মধ্যে আটক হয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩০১ জন রাজনীতিবিদ, ৫১ জন শিক্ষক এবং ১০৬ জন শিক্ষার্থী। মামলার প্রায় ৬০ শতাংশের মূলে রয়েছে ফেসবুক কার্যক্রম। ভুক্তভোগীরা বলছেন, স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা দিতে এ আইনে মামলা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গত চার বছরে ১৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮৪ জন।
আজকের পত্রিকা সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ২০১৮ সালে আইনটি হওয়ার পর কয়েকটি ধারা ও উপধারা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। এরপর বলা হলো, গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে যেন এ আইনের অপব্যবহার না হয়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার আগে যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আইনমন্ত্রীও একই কথা বলেছিলেন। তবে আমরা দেখছি যে, অনেক ক্ষেত্রেই এ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। আইনটির অপব্যহার হচ্ছে।
সাবেক এই প্রধান তথ্য কমিশনার আরও বলেন, ডিজিটাল অপরাধ রোধে আইনের দরকার আছে। তবে কোনো সাংবাদিক কিংবা যে কেউ যেন এ আইনের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব ধারার অপব্যবহার হচ্ছে, সেসব ধারা বিলোপ বা পরিবর্তন করতে হবে। এ সংশোধন সময়ের দাবি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের পর আইনটির অপপ্রয়োগ নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুবলীগ নেতা মো. গোলাম কিবরিয়া শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। সেদিনই দিবাগত রাতে দৈনিকটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মালেক। প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। এ প্রসঙ্গে গতকাল মাহবুব আলম লাবলু আমাদের সময়কে বলেন, এক দাগি আসামি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীর অপরাধমূলক কর্মকা- নিয়ে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়। এর পরও তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, নওগাঁয় সম্প্রতি র‌্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামে এক সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হয়। জেসমিনকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুগ্ম সচিব এনামুল হক। এ কা-ের পর খোদ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকও স্বীকার করেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় এ মামলার অপব্যবহার হয়েছে। তবে তিনি এও বলেন যে, দু-একটি ক্ষেত্রে আইনটির অপব্যবহার হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপর আইনমন্ত্রী জানান, সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়নি।
২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে সম্পাদক পরিষদ। ওই বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারার বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি জানায় পরিষদ। আইনটি সংশোধনে বেশ কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়।
সে সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগসহ লিখিত আপত্তি ও সুপারিশগুলো নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হবে এবং তা নিরসনে উদ্যোগ নেবে সরকার। নতুন করে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হবে বলেও তখন জানান তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে উদ্যোগ বেশি দূর এগোয়নি।
জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদ ২০২১ সালে কারাগারে মারা যাওয়ার পর ওই আইন বাতিল ও সংশোধনের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে মানবাধিকার, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠন। এমনকি রাজপথে বিক্ষোভ-মানববন্ধন কর্মসূচিও হয়। এমন প্রেক্ষাপটে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিবকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে বলা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ সম্পর্কিত আইন পর্যালোচনা করার। কীভাবে বিভিন্ন দেশ এ আইন প্রয়োগ করে, তাদের আইনের সঙ্গে আমাদের আইনের কী পার্থক্য, এই আইনে কোথাও কোনো প্রকার অসঙ্গতি আছে কিনা- ইত্যাদি বিষয় ভালো করে খতিয়ে দেখবে কমিটি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে ঢাকাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বসে আলোচনা সাপেক্ষে একটি রূপরেখা তৈরি করে তা সুপারিশ আকারে দেবে সরকারের কাছে। এসবের আলোকে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। কিন্তু এ পর্যন্ত সেই সুপারিশ সরকারের কাছে পৌঁছেনি। বলা বাহুল্য, আইনটির কোনো সংশোধনও হয়নি। কবে নাগাদ হবে, তাও অনিশ্চিত।
আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী মো. নজিবুল্লাহ হিরু আমাদের সময়কে বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলে এ ধরনের মামলা হয় না। কিন্তু সাংবাদিকতার নাম নিয়ে এর মধ্যে কিছু লোক ঢুকে গেছে, যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা রটায়। সে ক্ষেত্রে তো আইনগত ব্যবস্থা থাকা দরকার। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পর দেখুন- প্রতিটি ঘটনাই মিথ্যা বা উস্কানিমূলক বলে চলে এসেছে। এ কারণেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হয়েছে। সতর্কভাবে সঠিক সংবাদ প্রচারে আপত্তি নেই। সঠিক সমালোচনার অধিকার আছে। তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশা হলো সাংবাদিকতা। আমি মনে করি, সমাজকে সুসংগঠিত রাখার জন্যই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা দরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধিকাংশ মামলাই করা হয় হয়রানি করার জন্য। সিজিএসের সাম্প্রতিক গবেষণাতেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা মতে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার মাত্র ২ শতাংশ ক্ষেত্রে আসামিরা আদালতের মাধ্যমে সাজা বা খালাস পেয়েছেন কিংবা মামলাটি খারিজ হয়েছে। এক হাজার বা এরও বেশি মামলার মধ্যে পুলিশ এখনো তিন-চতুর্থাংশ তদন্ত করছে, অন্য মামলাগুলো ঝুলে আছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫ দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করতে পারেন। ৭৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা না দিলে সেটি ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারে চলে যায়। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনেক মামলার ক্ষেত্রেই নির্ধারিত ৭৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া না হলেও আসামিদের হেফাজতে রাখা এবং বিচারের আগে শাস্তি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আসামিদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকের সংখ্যা সর্বাধিক।
সিজিএস বলছে, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ১৪০টি। এসব মামলায় অভিযুক্ত ২১০ জনের মধ্যে আটক হয়েছেন ১১৫ জন। রাজনীতিবিদদের মানহানি করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলার অধিকাংশ বাদী সেসব রাজনীতিবিদের সমর্থক। এ ছাড়া ৬৯৮টি মামলা হয়েছে ফেসবুককেন্দ্রিক। এগুলোর মধ্যে হয়রানির মামলা ৭৬টি, আর্থিক প্রতারণার ৪৪টি এবং ধর্মীয় অবমাননার ১১৫টি। বাকি ৪৬৩টি রাজনৈতিক মামলা বলেই প্রতীয়মান হয়।

ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে মামলা দ্বিগুণ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার মধ্যেও গত ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে মামলার সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন সাংবাদিক, একজন বিএনপির কর্মী, একজন আওয়ামী লীগ কর্মী, একজন অভিনেত্রী, দুজন যুবক এবং একজন সরকারি কর্মচারী। এর মধ্যে র‌্যাবের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে এ আইনে মামলার সংখ্যা ছিল ৫টি। এর মধ্যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে এমএসএফ বলছে, এ আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে মতামত প্রকাশে বাধা দেওয়া, ভয় দেখানো এবং সবার মুখ বন্ধ করে দেওয়ার ভয়ঙ্কর এক অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে।

Facebook Comments Box

Posted ১০:৩৭ পিএম | শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(173 বার পঠিত)
ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।