ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 71 বার পঠিত
দেশে ডলার সংকটের নেতিবাচক প্রভাব সমগ্র অর্থনীতিতে। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ, উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, সুদের হার ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক দিক তৈরি হয়েছে। ডলারের এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত কোনো নীতিমালাই কাজে আসেনি, উল্টো সর্বত্র হতাশা দেখা দিয়েছে।
পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ায় ডলারের দাম জোরপূর্বক আটকে রাখার অবস্থান থেকে পিছু হটে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে এক দিনেই ৭ টাকা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একলাফে বড় ধরনের টাকার অবমূল্যায়ন আমদানি পণ্য ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ উসকে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি মাসে ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করে। এতে আমদানি করা নিত্যপণ্যসহ নানান পণ্যের দাম বেড়ে যায়। চলিত অর্থবছরের জুলাই মাসে ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা ৬৫ পয়সা। ২০২২ সালের মে মাসে মার্কিন এ মুদ্রাটির দর ছিল ৮৯ টাকা। সে হিসাবে দুই বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন ডলারের দাম আটকে রেখেছিল।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের বাজার আটকে রাখার যেমন ইতিবাচক দিক নেই, একইভাবে একবারে বেশি দাম বাড়ানোরও যুক্তি নেই। ধীরে ধীরে দাম বাড়ালে বাজারে অস্থিরতা হতো না বলে মত তাদের।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ডলারের দাম বাড়াই ছিল। এতদিন ধরে রাখা ঠিক হয়নি। কারণ আমদানিকারক কখনোই নির্ধারিত দামে ডলার পায়নি। তাহলে তো ঊর্ধ্বমুখীই ছিল বাজার। এখন একবারে ৭ টাকা বাড়ানোর ফলে রেট আরও বাড়বে। কারণ বলাই আছে, এরসঙ্গে আরও এক টাকা বাড়া-কমার সুযোগ রয়েছে।
ব্যবায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম সুদহার বিষয়ে বলেন, ডলারের মতো সুদহার বাজারের ওপরে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন যে সুদের হার আছে তাতে ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আশ্বাস দিয়েছেন। অর্থাৎ এর মধ্যেই আটকে দেবে সুদহার। তবে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে খরচ ৬ থেকে ৮ শতাংশ হলে সুদের হার ১২ শতাংশের ওপরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
Posted ১০:০০ এএম | বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।