| শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 37 বার পঠিত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেছেন যে, সাম্প্রতিক ইসরায়েলে হামাসের হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্ভাব্য মিত্রতার গড়ার চেষ্টাকে ধ্বংস করা। সূত্র: রয়টার্স
শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েলে হামাসের হামলা চলানোর অন্যতম কারণ হলো- তারা জানে যে আমি ইসরায়েল-সৌদির সম্পর্ক ঘনিষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছি এবং (এ ব্যাপারে) সৌদির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে সেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে মেনে নেয়নি ওই অঞ্চলের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করে। ২০২১ সালে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয় মার্কিন প্রশাসন। এই ধারাবাহিকতায় গত দু’বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ওমানের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকার নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বড় ধরণের হামলা পুরো পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার এই সাম্প্রতিক যুদ্ধ ও তার জেরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ব্যাপক ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান নিয়েছে এবং ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য মিত্রতাকে এই মুহূর্তে ‘খুব জরুরি’ নয় বলে মনে করছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আঞ্চলিক শক্তি এবং ইসলামের পবিত্রতম দুই স্থান মক্কা ওমদীনা দেশ সৌদি আরব। এই মুহূর্তে ইসরায়েলে সঙ্গে সম্পর্ক ঘণিষ্ঠ করতে গেলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্বে দেশটির প্রভাব খর্ব হতে পারে।
বস্তুত ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম আরবদের কোন হামলায় ইসরায়েল এতো মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ নিহত এবং ২০০ বন্দী হয়েছে। তার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অবিরাম বিমান ও বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে চার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
Posted ৩:৪০ পিএম | শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।