নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 108 বার পঠিত
চিলির আতাকামা মরুভূমির সেরো আরমাজোন পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি করা হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিস্কোপ ‘এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ’। এখানেই রয়েছে ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির তৈরি ভেরি লার্জ টেলিস্কোপও। তবে এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বড় আকারের নবায়নযোগ্য হাইড্রোজেন উৎপাদন কমপ্লেক্স তৈরি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি প্রতিষ্ঠান এইএস এনার্জি। এই হাইড্রোজেন উৎপাদন কমপ্লেক্সের কারণে এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ টেলিস্কোপটি আলো দূষণের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে টেলিস্কোপটির স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভেরি লার্জ টেলিস্কোপের ওপরেও প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
১৯৯০ দশকে ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ তৈরি করা হয়। তখন টেলিস্কোপটি তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার। মহাবিশ্বের অজানা রহস্য জানতে ভেরি লার্জ টেলিস্কোপে মোট চারটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ আছে। প্রতিটি টেলিস্কোপ ২৭ ফুট চওড়া। হাইড্রোজেন উৎপাদন কমপ্লেক্সের কারণে ভেরি লার্জ টেলিস্কোপের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির পরিচালক জেভিয়ার বারকনস বলেন, নতুন প্রকল্পের কারণে আকাশের উজ্জ্বলতা প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। তখন বিশ্বের সেরা মানমন্দির ও সাধারণ পর্যবেক্ষণ স্থানের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।
উত্তর চিলির আতাকামা মরুভূমির ৮৭৪০ ফুট উচ্চতার পর্বত মাউন্ট প্যারানেল। এই এলাকা এখনো আলোক দূষণ থেকে মুক্ত বলা হয়। এখানে রাতের আকাশ প্রতি বছর প্রায় ১১ মাসের বেশি সময় পরিষ্কার থাকে বলে পর্যবেক্ষণ করা অনেক সহজ। সবচেয়ে অন্ধকার জায়গা বলে এখানে ভিএলটি স্থাপন করা হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভিএলটির মাধ্যমে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের ব্ল্যাক হোলের আশপাশে নক্ষত্র অনুসন্ধানসহ অনেক বৈজ্ঞানিক মিশনে কাজ করেছেন। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বের ২৮টি শক্তিশালী মানমন্দিরের মধ্যে ভেরি লার্জ টেলিস্কোপে সবচেয়ে কম আলো দূষণ হয়। তবে হাইড্রোজেন উৎপাদন কমপ্লেক্স তৈরি হলে ভেরি লার্জ টেলিস্কোপটির মাধ্যমে ৩০ ভাগ গ্যালাক্সি কম দেখা যেতে পারে।
Posted ২:৪১ পিএম | শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।