মঙ্গলবার ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ও জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন চালুর পক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর সাফাই

  |   মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২   |   প্রিন্ট   |   137 বার পঠিত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন চালুর পক্ষে সাফাই দিয়েছেন।

তিনি আজ (মঙ্গলবার) বনগাঁয় বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আজকে অনুপ্রবেশকারীরা বেড়া ডিঙিয়ে এসে আমার রেশন খাচ্ছে, আমার জমি নিয়ে নিচ্ছে, আমার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে নিচ্ছে। সেজন্য আমার ভারতভূমিকে রক্ষা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার জন্য নাগরিকপঞ্জি তৈরী হওয়া উচিত।’

এ প্রসঙ্গে বনগাঁ সাংঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচন আসন্ন সেজন্য উনি এসব কথা বলছেন। বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভাঁওতা দিয়ে জনগণের ভোট নেয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার সবটাই পূরণ করেছেন। মানুষ তৃণমূলের উপরেই আস্থা রাখবে। ওদের ভরাডুবি হবে।’

আজ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলকে ‘তোলামূল পার্টি’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, আগামী নির্বাচনে তোলামূল পার্টিকে সংখ্যালঘুরাও ভোট দেবে না। সেজন্য জোট বাঁধুন, তৈরি হন।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পৌরসভার উপনির্বাচনে ভোট লুট হয়েছে। অসংখ্য মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেনি। লুট হয়েছে ভোট। পঞ্চায়েতে যদি হিন্দু বুথ লুট করতে আসে, বাক্স ধরে পুকুরে ফেলবেন। এ লড়াই জিততে হবে। শুধু হিন্দু বুথ নয়, সংখ্যালঘু বুথেও আমি পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছি, বিজেপি জিতবে কী না আমি জানি না, কিন্তু তোলামূল পার্টিকে সংখ্যালঘুরাও ভোট দেবে না। এটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। সেজন্য জোট বাঁধুন, তৈরি হন। আগামীতে জোরালো লড়াই করতে হবে।’

শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তোষণের রাজনীতিতে ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু দেব-দেবীকে আক্রমণ করার কাজে তার সমস্ত নেতা-নেত্রীকে এগিয়ে দেন।’ তিনি বলেন, কোলকাতায় লক্ষ্মী পুজোর দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে মোমিনপুর, ইকবালপুরে, খিদিরপুরে হিন্দুদের বাড়ি  জ্বালানো হল, মোটোর সাইকেল পোড়ানো হল, দোকান লুট করা হল কিন্তু সেখানে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ।’

‘তারা চান ওই এলাকা হিন্দুশূন্য হয়ে যাক! ধর্মীয় কারণের চেয়েও বড় কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেন। হিন্দুশূন্য হলে তার ভোট ব্যাঙ্ক শক্তিশালী হবে, সেজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজকে প্রশ্রয় দেন’ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

Facebook Comments Box

Posted ৫:১২ পিএম | মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।