সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ ওবরাদরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নকে সামনে রেখে আয়োজিত এই বৈঠকে অভিবাসন ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেছেন দুই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেন, “আমরা উত্তর আমেরিকায় নিয়মবহির্ভূত অভিবাসনের সমস্যা সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতার উদ্যোগ বিষয়ে আলোচনা করেছি, যার মধ্যে আছে আইনি প্রক্রিয়ার সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি মানবিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনার নীতিমালা প্রণয়ন।”
“আমরা অভিবাসনের মূল কারণগুলো নিয়ে কথা বলেছি। মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে এ ধরণের পারস্পরিক সহযোগিতা নজিরবিহীন”, বলেন ব্লিংকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো ও সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি জেইমি হোয়াইটও অর্থনৈতিক বিষয়ে এই উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বলছেন, মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী সম্প্রদায়ের ওপর চাপ কমাতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে হাজার হাজার অভিবাসীকে বাসে করে নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে পাঠাতে হয়েছে।
জ্বালানি নীতি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন রয়েছে।
সোমবার, লোপেজ ওবরাদর একটি পৃথক সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর জ্বালানি নীতি প্রসঙ্গে ‘ওয়াশিংটনের পরিবর্তিত সুর’ কে সাধুবাদ জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছ থেকে পাওয়া চিঠির বরাত দিয়ে ওবরাদর বলেন, “তাদের কথায় এখন নতুন এক সুর। তারা আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল”।
দুই মাস আগেই জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে ওবরাদরের সঙ্গে বৈঠকে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কে পুনর্নির্মাণের ওপর জোর দেন।
আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানায়, ব্লিংকেন ও ওবরাদর জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করা ও বিদ্যুত্ চালিত যানবাহন, সৌর প্রযুক্তি ও সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে জলবায়ু সংকটকে যৌথভাবে মোকাবিলা করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী রাইমন্ডো জানান, সরবরাহ খাতেও পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়েও দুই দেশ আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, মেক্সিকোর সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন খাতে সম্ভাবনাময় একটি দেশ। পাশাপাশি তারা এর পরীক্ষন, প্যাকেজিং ও অ্যাসেম্বলিতেও উন্নতি করতে পারে।
সূত্র-ভয়েস অব আমেরিকা